এ সময় তারা ‘হল ভাতা আবাসন, কবে দিবা প্রশাসন? আবাসন দিতে যদি না পারো, ইন্টেরিম তুমি ক্ষমতা ছাড়ো। সঙ্কট থাকলে আবাসনে, ইন্টেরিম যাবে নির্বাসনে। এক দুই তিন চার, মানবো না আর অনাচার। রক্ত লাগলে রক্ত নে, জগন্নাথরে হল দে, অমুক তমুক বাজেট পায়, জগন্নাথ কোথায় যায়’ স্লোগানে স্লোগানে মিছিল বের করে শিক্ষারর্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়েন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও শিক্ষক সমিতির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সঙ্কট নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যথাযথভাবে দাবি উপস্থাপন করলেও ইউজিসি বরাবরের মতোই দায়সারা আশ্বাস দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে লং মার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার লং মার্চ কর্মসূচি হওয়ার কথা থাকলেও একদিন এগিয়ে এনে তা বুধবার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিন দফা দাবি মানলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে। আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো
এক. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
দুই. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
তিন. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।