ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির সূত্রে বাসস জানায়, ২০২২ সালে ২৭ বছর বয়সী নিউ জার্সির বাসিন্দা হাদি মাতার রুশদিকে মঞ্চে উঠে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেন। এ হামলায় রুশদি তার ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান এবং তার লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রে মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়াও সহ-আলোচক হেনরি রিসও আহত হন।
আদালতে হাদি মাতারকে দ্বিতীয় ডিগ্রির হত্যাচেষ্টার জন্য ২৫ বছর এবং দ্বিতীয় ডিগ্রির হামলার জন্য সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়, যা একসাথে চলবে। হাদি মাতার তার অপরাধের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে রুশদিকে দোষারোপ করেন এবং বলেন, তিনি রুশদির বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেসে’র কয়েক পৃষ্ঠা পড়েছেন মাত্র।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি রুশদির বিরুদ্ধে একটি ফতোয়া জারি করেন, যেখানে রুশদির মৃত্যুদণ্ডের আহ্বান জানানো হয়। এ ফতোয়ার প্রেক্ষিতে রুশদি দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে ছিলেন। সালমান রুশদি ২০২৪ সালে ’নাইফ’ নামে একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি এ হামলার বিস্তারিত বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ’আমি ভাগ্যবান যে বেঁচে আছি। আমার প্রধান অনুভূতি কৃতজ্ঞতা।’ হাদি মাতার বর্তমানে ফেডারেল পর্যায়ে উগ্রবাদ-সংক্রান্ত অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন, যার মধ্যে হিজবুল্লাহকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ মামলার বিচার ভবিষ্যতে অনুষ্ঠিত হবে।
এ হামলার ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে সাহিত্যিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকে এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে দেখছেন।
