বিপিএলের টিকিট বিক্রির অনিয়মসহ সুনির্দিষ্ট তিন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৫ এপ্রিল বিসিবিতে অভিযান চালিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন সদস্য।
ওই মাসের শেষের দিকে নাজমুল হাসান পাপনের ‘দুর্নীতি’ অনুসন্ধানে বিসিবিকে চিঠি দেয় দুদকের আরেকটি দল। এক মাসের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো বিসিবিতে অভিযান চালিয়েছে তারা। তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অনিয়ম, গঠনতন্ত্রে অসঙ্গতি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গতকাল বিসিবিতে অভিযান চালিয়েছে দুদকের চার সদস্যের একটি দল।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের দলটি বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করে প্রায় ঘণ্টা ধরে সেসব পর্যালোচনা করেছেন। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজু আহমেদ বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অনিয়ম ও পাশাপাশি বিসিবির গঠনতন্ত্র, আর্থিকসহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয় সার্বিক অভিযোগ নিয়ে আমরা এসেছি। বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি। সেগুলো সকাল থেকে পর্যালোচনা করলাম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বললাম। আরো কিছু রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করব, কিছু বক্তব্য গ্রহণ করব।’
গত ১৫ এপ্রিল বিসিবিতে আসা দুদকের সদস্য দলের কাছে তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ নিয়ে একটি অভিযোগ ছিল। ২০১৪-১৫ মৌসুমে লিগে খেলার ফি ৭৫ হাজার থাকলেও পরবর্তীতে সেটা পাঁচ লাখ করা হয়। সবশেষ কয়েক বছরে চার-পাঁচটি দল নিয়েও টুর্নামেন্ট হয়েছে। ফারুক আহমেদ সভাপতি হওয়ার পর লিগের ফি এক লাখে নামিয়ে আনার পাশাপাশি বিভিন্ন শর্ত তুলে নেয়ায় এবার ৬০টি দল অংশ নেয়। এ প্রসঙ্গে রাজু বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অংশগ্রহণ একসময় খুব সহজ ছিল। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে দেখা যায় কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ইস্যুটা কতটুকু স্পষ্ট, স্বচ্ছ কি না, বৈধতা কেমন, বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম ছিল কি না- সেটা দেখলাম।’
গঠনতন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ জানান, ‘বিসিবির গঠনতন্ত্রে কিছুটা অসঙ্গতি রয়েছে। এই জায়গায় আমরা গ্যাপ দেখেছি। এখানে চাকরির সঠিক নীতিমালা নেই।’