শাহবাগ জোনের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মেহেদি হাসান শাকিল জানিয়েছেন, ‘বিকেল ৪টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তারা শাহবাগ ক্রসিংয়ে অবস্থান নিয়েছেন। এর ফলে চারদিকের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
এর আগে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পরে তারা সড়ক অবরোধ করেন। এর আগে তারা ক্যাম্পাসে কালো পতাকা মিছিল করেছে। দুপুর ২টায় প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারে বেঁধে দেয়া ৪৮ ঘণ্টার সময় শেষে শাহবাগ থানা ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ওই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকরাও যোগ দেন। ঘণ্টা দেড়েক শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেয়ার পর তারা সেখান থেকে চলে যান।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মনসুর বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলো। আমরা বলেছি তাদের। আমরা মামলা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করেছি বলেছি। পরে তারা চলে গেছে।’ সবার সাথেই পুলিশ কথা বলছে বলে জানান তিনি। এর আগে অপরাজেয় বাংলার সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানান ভিসি নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দলাদলির উর্ধ্বে উঠে এ হত্যার বিচারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলাদলির ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে সাথে নিয়ে এ মর্মান্তুক হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ে করতে এবং এ ব্যাপারে আমাদের তরফ থেকে যা করণীয় আমরা করবো, আপনাদের যা করণীয় আপনারা করবেন। একটি ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ সংহতি প্রয়োজন।’ এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।