তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দেশের চার বিভাগে বিকেএসপি রয়েছে। আমরা সরকার গঠন করলে প্রথমে সকল বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করব। যাতে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি হয়। আর যারা খেলাধুলার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করবে তাদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ঢাকা শহরে ওয়ার্ড-ভিত্তিক খেলার মাঠ গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি। অন্তত দু’টি ওয়ার্ডের মাঝখানে যদি তিন থেকে চার বিঘা জমি বের করা যায়, সেখানে মাঠ করা হবে। বাচ্চারা খেলবে, মুরুব্বিরা হাঁটবে। মানুষ সেখানে বুক ভরে শ্বাস নিতে পারবে। ঠিক এমন একটি চিন্তা আমাদের আছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা স্কুলের সিলেবাস ঢেলে সাজাতে চাই। সেখানে খেলাধুলা ও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাষা অন্তর্ভূক্ত থাকবে। এর জন্য পরীক্ষায় আলাদাভাবে নম্বর থাকবে। তার মানে খেলাধুলা তাকে করতেই হবে। আমরা এটা অন্তর্ভুক্ত করে দেবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এই নির্বাচনের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। গুম হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এটি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার। আমরা এর মাধ্যমে এমন একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠান করতে চাই। যেই সরকার মানুষের রাজনৈতিক কল্যাণে কাজ করবে।’
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আজ একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। সকলে মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে গড়তে হবে। আমাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতপ্রার্থক্য থাকতেই পারে। গণতন্ত্রে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে এগিয়ে নেয়া, দেশের মানুষের নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।’