ইশরাককে মেয়র ঘোষণার দাবিতে অবরুদ্ধ নগরভবন, থমকে গেছে সেবা

- আপডেট সময় ১২:৩২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
- / ৫৯ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন সংস্থাটির কর্মচারীদের একটি অংশ। মূল ফটক আটকানোর পাশাপাশি সব বিভাগের গেটে গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে আজও বন্ধ রয়েছে সব সেবা কার্যক্রম।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, দুই দফায় কোর্ট রায় দেওয়ার পরও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা ইশরাককে মেয়র হিসেবে পেতে চাই। এই দাবিতেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরেক কর্মচারী জাহিদুর রহমান বলেন, ঢাকার জনগণ যেমন ইশরাক ভাইকে মেয়র হিসেবে দেখতে চায়, ঠিক তেমনি ডিএসসিসি সব কর্মচারীরাও তাকে মেয়র হিসেবে চায়। গত ১৫ মে থেকে আমরা টানা কর্মসূচি পালন করে আসছি। যে কারণে সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। আমাদের মেয়র, জনগণের মেয়র ইশরাক ভাই দায়িত্ব গ্রহণ করলে, মেয়র হিসেবে বসলে আমরা কাজে ফিরে যাবো। তা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। .
এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলন নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এরপর এ রিট মামলার ওপর কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বেঞ্চ। এরপর শপথ পড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক।