চট্টগ্রামের কমার্স কলেজে শিবিরের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদলের হামলা

- আপডেট সময় ০৬:৩৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
- / ৭৮ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজে স্থাপিত ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলা চালিয়েছে ছাত্রদল। এই ঘটনায় ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
আজ (শনিবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে ছাত্রদল কর্মীরা এসে অকস্মাৎ হেল্প ডেস্কে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে কলেজে আগত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, বিনা উস্কানিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হেল্পডেস্কে এসে বলে এখানে শিবিরের কোন কাজ চলতে পারে না। উপস্থিত শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে বহিরাগত ছাত্রদল কর্মীরা অকস্মাৎ তাদের হেল্প ডেস্কে শিবিরের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় ও চেয়ার ভাংচুর করে। এসময় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বহিরাগত দুর্বৃত্ত নুরুল ইসলাম নুরুকে ছাত্রশিবিরের হেল্পডেস্কে থাকা নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালাতে দেখা গেছে।
এদিকে আরেক পরীক্ষাকেন্দ্র চট্টগ্রামের ইসলামিয়া কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য স্থাপন করা ছাত্রশিবিরের হেল্পডেস্কের সামনে জোরপূর্বক বাধা দেয় ছাত্রদলের বহিরাগত নেতাকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তারা শিবিরের ডেস্কের সামনে এসে সারিবদ্ধভাবে দাঁয়ে যায়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং তাদের সাথে আসা অভিভাবকরা কোন প্রকার হেল্প নিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে শিবিরের দাবি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ছাত্রদলের নেতারা। তারা বলছেন, ‘ছাত্রদল ধর’ বলে আওয়াজ তুলে আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক জাহিদুল আলম জয় বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য হেল্পডেস্ক করা হয়। বিনা উস্কানিতে সেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। হামলায় আহত হন মহানগর দক্ষিণ কলেজ সম্পাদক মোজাহেরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জীবন ও আব্দুল হাদী রাহিক।’

চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফয়সাল উদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে কলেজে অনেক শিক্ষার্থীর সমাগম হয়। গেটের বাইরে একটি হেল্পডেস্কে মোবাইল রাখা নিয়ে একজন ছাত্রীর সঙ্গে সমস্যা হয়। তখন কলেজের ভেতর থেকে একজন বলতে থাকে— ‘ছাত্রদল ধর, মার’। এরপর সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়। আমরা কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ জানিয়েছি।’
চট্টগ্রাম মহানগর শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে পানি বিতরণ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সবাই মিলে কর্মসূচি পালন করে।’