হাসপাতালে খাবারের টেন্ডার নিয়ে যুবদল-ছাত্রদলের মারামারি

- আপডেট সময় ০৬:২১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ৪৫ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (হাসপাতাল) রোগীদের খাবার সরবরাহের টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের ভেতর মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন বিএনপির যুবদল-ছাত্রদল নেতা।
বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কক্ষে ওই মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান রাসেল মাথায় রক্তাক্ত জখম হলে তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কক্ষে ওই মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে।
মারামারির ভাইরাল একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে জানা যায়, বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কক্ষে রোগীদের খাবার সরবরাহের টেন্ডারকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান রাসেল ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও এরপর মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির একপর্যায়ে আবুল হাসান রাসেল মাথায় রক্তাক্ত জখম হন।
বৃহস্পতিবার উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহের টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। টেন্ডার বঞ্চিত হয়ে আবুল হাসান রাসেল অহেতুক বুধবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে বলতে থাকে- ‘বিএনপির কে আপনাদের কাছে চাঁদা চেয়েছেন বলেন’। ওই সময় আমি রাসেলের কথাবার্তা রেকর্ড করতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার শরীরে হাত তোলেন। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন এমনকি আমি নিজেও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান রাসেলের পিতা এমরান হোসেন বলেন, রাসেল সিলেটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে কিভাবে সে মাথায় আঘাত পেয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারিনি।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহের টেন্ডার প্রক্রিয়া ২ জুলাই সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার মূলত হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে হাসপাতালের ভেতরে জাহাঙ্গীর আলম ও রাসেল আহমদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। রাসেল মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। অপরদিকে জাহাঙ্গীর আলমও কিছুটা আঘাত পেয়েছেন।