সাদিক কায়েম ভাই সশরীরে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকদের সাথে কথা হয়েছে
সাদিক কায়েমকে জড়িয়ে বাগছাস সদস্য সচিবের মিথ্যাচার, জবাবে সেই শিবির নেতা মিফতাহুল
নিজস্ব সংবাদ :
আপডেট সময়
০৬:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
/
৪১
বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি এখন টিভির এক টকশোতে বাগছাস সদস্য সচিব জাহিদ হাসান বলেন, মিফতাহুলকে যখন থানায় নিয়ে যায় ছাত্রলীগ তখন শুধুমাত্র ছাত্রঅধিকার পরিষদ থানায় গিয়েছে সাদেক কায়েম ফরহাদরা তখন টিএসসিতে ছাত্রলীগের সাথে মিছিল দিচ্ছিলো। এর প্রতিবাদে মিফতাহুল আজ রাত আনুমানিক ১:০০ টার দিকে ক্ষোভ এবং জাহিদের বক্তব্যকে মিথ্যাচার আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। পোস্টটি দর্শকদের সুবিধার্থে নিচে তুলে ধরা হলো-
সাদিক ভাই সম্পর্কে জাহিদ ভাইয়ের বক্তব্য স্রেফ পলিটিকাল নোংরামি, অসততা এবং একই সাথে মিথ্যা, মিথ্যা এবং মিথ্যা
২০২২ সালে আমার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগছাসের সেক্রেটারি জাহিদ আহসান গতকাল একটি টকশোতে বলেছেন, আমাকে জেল থেকে ছাড়ানোর সময় শিবির নেতারা (সাদিক কায়েম, এসএম ফরহাদ) কেউ যায়নাই, কেবল অধিকার পরিষদই নাকি গিয়েছিলো। জাহিদ ভাইয়ের “সবকিছু আমরাই করেছি, শিবির নেতারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন” টাইপ বক্তব্য নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী, জঘন্য মিথ্যাচার ও নিরেট সস্তা স্ট্যান্ডবাজি ব্যতীত আর কিছুই নয়।
ছাত্রলীগ ও হল প্রশাসন আমাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করার পর শিবিরের দায়িত্বশীল থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের সকল এ্যাক্টিভিস্ট, ডান-বাম সবাই তাদের যায়গা থেকে প্রতিবাদ করেছেন। ক্যাম্পাসের কাছাকাছি যারা ছিলেন মোটামুটি সবাই শাহবাগ থানায় এসেছিলেন আমার সাথে দেখা করতে। ১১ টার পরে আমারে হল থেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়।
রাতে আমার সাথে সাথেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অনেকে চলে আসেন থানায়, আমার চাচা ঢাবি ছাত্রদলের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শোভন, আমার উপজেলার রাজিব ভাই, উৎসব ভাই চলে আসেন। একই সময় শিবিরের আবিদ ভাই, আরাফাত ভাইরাও এসে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে যান। এরপর আমার বন্ধু সুফিয়ান, শিহাব, রুদ্র, নাবিল, জুনায়েদ, সাজিদ আসেন। ডিপার্টমেন্টের ছাত্রদল নেতা ও বন্ধু তানভীর, আরাফাত শৈশবও রাতের বেলা আমার সাথে দেখা করে যায় থানায়।
আমারে হাজতে নিয়ে যায় ১ টার দিকে এই দুই ঘন্টায় এদের সাথেই দেখা হয়।
ফজরের পর ছাত্রশিবিরের রাফে সালমান রিফাত ভাই খাবার নিয়ে আসেন, নাবিল-রুদ্ররা খাবার পাঠায়, তারপরে মোল্লা ফারুক ভাই, শোভন চাচা আসেন। এরপর সাদিক কায়েম ভাই সশরীরে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকদের সাথে কথা হয়েছে, আমার বন্ধুদের সাথে কথা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এক্টিভিস্ট, শিক্ষক, সাংবাদিকদের সাথেও যোগাযোগ করছিলেন সাদিক ভাই। আমাকে বের করার জন্য যা করা দরকার সব করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।
আমারে যখন হাজত থেকে ওসির রুমে নিয়ে যাওয়া হয় তখন দেখি ডিপার্টমেন্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সব সিনিয়র-জুনিয়র, আমার বিশেষ করে আমার বন্ধু-বান্ধবীরা শাহবাগ থানা ঘিরে রেখেছেন।
আমার সাথে ওসির রুমে যখন ওসি কথা বলছিল সেই রুমে আখতার ভাই, আকরাম ভাই, সিফাত ভাইয়ের সাথে সাদিক কায়েম ভাই, রাফে সালমান রিফাত ভাই, আবিদ ভাই, আনিছুর রহমান জুয়েল ভাই, আরাফাত ভাই, শোয়েব আব্দুল্লাহ ভাই, নুসরাত আপু, শোভন চাচা ও মোল্লা ফারুক ভাই, লোকাল গার্ডিয়ান হিসেবে আমার মামা বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন এর এক্সিকিউটিভ মেম্বার এ্যাড. শফিক ছিলেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের পুরো কমিটির লোকজন ছিল এবং এক্টিভ রোল প্লে করেছেন একই সাথে ছাত্রফ্রন্টের আমার বন্ধু মোজাম্মেল, সালমান ভাই, বিপ্লবী ছাত্র ও যুব আন্দোলনের শোয়েব আব্দুল্লাহ ভাই সহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং নিজেদের রোল প্লে করেছেন। আমার বের হওয়ার পর পরিষদের নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের আক্রমণের শিকার হন, সিফাত ভাই, আহনাফ ভাই বাজে ভাবে আহত হন সেই আক্রমণের প্রতিবাদে বিকেলে পরিষদের ভাইরা রাজুতে একটা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এবং সেখানে আমি ও আখতার ভাই এক রিক্সায় রাজুতে আসি।
যেই রুমে বসে সিদ্ধান্ত হয় আমি রাজুতে এসে পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দিব সেই রুমে সাদিক কায়েম ভাই, রাফে সালমান রিফাত ভাই, আখতার ভাই একসাথেই ছিলেন।
আমি প্রত্যেকের অবদান স্বীকার করি ও কৃতজ্ঞতা পোষণ করি কিন্তু সবকিছু আমরাই করেছি, সাদিক ভাই জয় বাংলা বলে ছাত্রলীগ করেছেন এইরকম মিথ্যাচার আমি জাহিদ ভাইয়ের থেকে আশা করিনি।
সাদিক ভাই সম্পর্কে জাহিদ ভাইয়ের বক্তব্য স্রেফ পলিটিকাল নোংরামি, অসততা এবং একই সাথে মিথ্যা, মিথ্যা এবং মিথ্যা।