অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি
রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার, ধানমন্ডি থানার ওসির ব্যাখ্যা তলব

- আপডেট সময় ০৬:১১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যশৈন্যু মারমার নিকট ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
এদিকে, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আজিজুর রহমানের পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়কার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গতকাল শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। পরে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যে মামলায় আজিজুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় সেটির অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানার নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। গুলি ভুক্তভোগীর পিঠ দিয়ে ঢুকে গেলে তাৎক্ষণিক পড়ে যান তিনি। পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ২ মাস চিকিৎসা শেষ সুস্থ হন।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ২ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন আরিফুল।