পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, বিএনপি নেতা কারাগারে

- আপডেট সময় ০৬:০৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
পুলিশের ওপর হামলা করে মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জামালপুরের মাদারগঞ্জে আবু সাইদ (৩৫) নামে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আবু সাইদ উপজেলার ১ নম্বর চর পাকেরদহ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ওই এলাকার আলহাজ নুরুল ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে ১ নম্বর চর পাকেরদহ ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩৩ পিস ইয়াবাসহ নাছির মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে থানায় নেওয়ার সময় বাংলা বাজারে পৌঁছালে নাছিরের প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা পুলিশের ওপর হামলা করে মাদক কারবারি নাছিরসহ হ্যান্ডকাফ ও একটি ডায়েরিও নিয়ে যায়। এতে পুলিশের দুই এএসআই আহত হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে নেওয়া হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চর পাকেরদহ ইউনিয়নের পশ্চিম চর পাকেরদহ গ্রামের দুদু মন্ডলের ছেলে মো. আজিজুল হক বাবু (৩২), ইদু মন্ডলের ছেলে মো. রাসেল (৩৪), আসাদ মন্ডলের ছেলে স্বপন (২৮) ও মৃত কছর মন্ডলের ছেলে সুজা মন্ডল (৫৫)। তারা প্রাথমিকভাবে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরে তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার বলেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে শুনেছি। বিষয়টি দলীয়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। যদি সে ওই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে মূল আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত মোট ৫ জন আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার সবাই কারাগারে আছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।