বৃহত্তর ময়মনসিংহে বাস চলাচল বন্ধ
কমিটি নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের দ্বন্দ্বে ময়নসিংহে বাস কাউন্টার ভাঙচুর

- আপডেট সময় ০৭:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহে মাসকান্দা বাস কাউন্টারে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় চার ঘণ্টা যাবত ঢাকাসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নগরীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টারে ভাঙচুর ও লোটপাট করে দুর্বৃত্তরা। এই ভাঙচুর ও লুটপাটে দেড় শতাধিক দুর্বৃত্ত অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
নগরীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টার ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দুপুর ১টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, পুর্বধলা, কিশোরগঞ্জসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর মাহমুদ আলম।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে নগরীর মাসকান্দায় ইউনাইটেড পরিবহনের বাস কাউন্টারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম বলেন, গত বছরের নভেম্বরে মোটর মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন শরাফ উদ্দিন কোহিনূর (মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য)। একই কমিটিতে আব্দুর রব আকন্দ রতনকে মহাসচিব পদে নির্বাচিত করে ৭৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে আমাকে সভাপতি করে কমিটি দেওয়া হয়। এতেই বাদে বিপত্তি। আমাদের কমিটিকে মেনে না নিয়ে আগের কমিটি আদালতে মামলা করে। মামলা আদালতে চলমান। এখন তারা সমিতিতে গাড়ি ভর্তি না করে জোরপূর্বক চালাতে চাচ্ছে। তাদের ইশারায়, বাস কাউন্টার ভাঙচুর করেছে লোকজন। এসময় কাউন্টারে থাকা ল্যাপটপ ও টাকা নিয়ে চলে যান তারা। যাওয়ার আগ মুহূর্তে বাস চলাচল করলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, কোহিনূরের ভাই জসিমের ইশারায় এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছি। আমরা বাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেইনি। তবে সড়কে বাস চললে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকায় বাস মালিকরা ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৬ জেলার বাস বন্ধ রেখেছে।
মজিবুর রহমান নামে ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, আমি অগ্রিম টিকেট করে রেখেছিলাম। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি কে বা কারা ভাঙচুর করেছে। এতে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমি ঢাকা গিয়ে সেখান থেকে রবিশাল যাব। লঞ্চের টিকেট কেনা। এখন কোনোভাবেই ঢাকা যেতে পারছি না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী বাসস্ট্যান্ডের আরেক কর্মী বলেন, যারা ভাঙচুর করতে এসেছিল তারা স্লোগান দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ নেতা শামীমের কোনো বাস চলবে না। এসব স্লোগান দিতে দিতে কাউন্টার ভাঙচুর করে