একটা দল ৩০০ আসনে নমিনেশন দিয়ে এখন পিআরের কথা বলে: আহমেদ আযম খান

- আপডেট সময় ০৪:১০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫৮ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, এখন রাজনীতি করতে হবে দেশ, জনগণ ও দেশের অর্থনীতিকে নিয়ে। অন্য কিছু নিয়ে রাজনীতি করবার সুযোগ আগেই শেষ হয়ে গেছে। আমাদের গণতন্ত্রের পথে দেশটাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। মূল বিষয়টি হলো আমাদের একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের যে ভঙ্গুর অর্থনীতি সেই অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির অর্থনীতিতে পরিণত করতে হবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখন আজেবাজে কথা বলে আমরা অযথা বিতর্কে জড়িয়ে গণতন্ত্রের পথে আমরা যত দেরিতে যাত্রা শুরু করব তত কিন্তু জাতি ভঙ্গুর অবস্থায় থাকবে। কাজেই কে কোথায় কি বলল, না বলল সেগুলো নিয়ে চিন্তা বাদ দিতে হবে। একেক জনে একেক কথা বলে পত্রিকা ও চ্যানলের শিরোনাম হতে চায়। এসব বাদ দিতে হবে।
আহমেদ আযম খান বলেন, ৫ আগস্টের যে গণঅভ্যুত্থান সেটার শিক্ষা হলো আর জাতির সঙ্গে প্রতারণা না করা। আমরা এখনো জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছি। কোনো একটি দল ৩০০ আসনে নমিনেশন দিয়ে ফেলেছে এক বছর আগে। এখন তারা পিআরের কথা বলে, তোমরা পিআরের কথা বলো আবার ৩০০ আসনে নমিনেশন দাও। পিআরের কথা বললে তো নমিনেশন দেওয়ার কথা না। কাজেই জাতির সঙ্গে প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। না হলে এই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় ভূলুণ্ঠিত হবে। আমরা আর আগের প্রতারণার রাজনীতিতে ফিরে যেতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির যে সাম্প্রতিক অবস্থার কারণ হলো দেশের অনিশ্চয়তা। যখনি দেশটা নির্বাচনের দিকে যাবে তখন সকল অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। তখনি আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নতি হবে।মানুষ তখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য সকল রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করবে। যত দেরি হবে তত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে। এটা আমার মনে হয় সরকার বুঝতে পেরেছে। বুঝতে পেরেই তারা নির্বাচনের পথে যেতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা বুঝতে পেরেছে তাদের ভোট নেই। তারা শুধু ভোটের চিন্তা করে, দেশের চিন্তা করে না। তারা পিআর,সংস্কার ও বিচার নানা ধরনের কথা বলে এই দেশের অগ্রগতি ও গণতন্ত্রকে থামাতে চায়। কাজেই এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের হাতে। আমরা যখনি সবাই মিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
এ সময় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ছবুর খান চানু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী খানশূর, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি প্রমুখ।