আল্লামা সাঈদীর জীবন ও কর্মকে সকলের কাছে তুলে ধরতে হবে: শামীম সাঈদী

- আপডেট সময় ০৯:২২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ২০ বার পড়া হয়েছে
তিনি আরও বলেন, শুধু আল্লামা সাঈদী নয়, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে শহীদ করা হয়েছে। এসব অবিচারের বিচার বাংলার মাটিতে হওয়া উচিত। যাতে আর কোনো নিরপরাধ মানুষ এভাবে বিচারিক জুলুমের শিকার না হন। আল্লামা সাঈদী সারা বাংলাদেশে তথা গোটা বিশ্বে কুরআনের তাফসির করেছেন, কুরআনের আলোকে জীবন গঠনে কাজ করেছেন, কুরআনের সমাজ বিনির্মাণের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জীবনের শেষ মুহূর্তে আল্লামা সাঈদীর চিকিৎসা নিয়ে জাতি আজ সন্দিহান। কারণ যে চিকিৎসক আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করেছে, সে যদি এই আসামিকে তার হাতে পায় খুন করতে দ্বিধা করবে না। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করে এদেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।
শামীম সাঈদী বলেন, জাতীয় সংসদে পরপর দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও ক্ষমতা ও শক্তি দিয়ে নয় বরং উত্তম ব্যবহার, কথা ও কাজ দিয়ে জনগণকে যে মন্ত্রমুগ্ধ করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে তিনি সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। এমনকি তিনি তার নিজ এলাকায় অমুসলিম জনগণের সমর্থন অর্জনে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছিলেন। অমুসলিমগণের নিকট তার অবস্থান ছিল মাতৃক্রোড়ে থাকার মতো নিরাপদ। জনগণের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে জাতীয় সংসদে তার বক্তব্য ছিল অভিভাবকসুলভ। সেই ঐতিহাসিক বক্তব্যসমূহ এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে। ইসলামের প্রচার-প্রসারে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। তার জীবন ও কর্মকে সকলের কাছে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এই নামটি বাংলাদেশের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইতিহাসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু তার জীবন কেবল বিতর্কের নয়; বরং বিশাল জ্ঞানের আলো, ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তার এবং মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়ে তোলার এক উজ্জ্বল নিদর্শনও। তিনি ছিলেন একজন শ্রদ্ধাভাজন আলেম, যিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এমনকি আফ্রিকাসহ বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশে সম্মানিত ছিলেন।
সিদ্দিকীয়া জামেয়া-ই-মাদানিয়া ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এস এম আজিজুর রহমান সভাপতিত্বে ও মাদরাসার আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা শাখার উপাধ্যক্ষ শাকিলা উম্মে নূর, সিদ্দিকীয়া মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সিনিয়র শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম, সাবেক ছাত্র আব্দুল মান্নান প্রমুখ।