ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জাকসু নির্বাচন

ডোপ টেস্টের পর ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতির প্রার্থীতা বাতিল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৯৩ বার পড়া হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অমর্ত্য রায়ের। বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের পর তার প্রার্থীতা বাতিল হয় বলে জানা গেছে। তিনি আসন্ন জাকসু নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। 
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনের সকল প্যানেলের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় ডোপ টেস্টের দাবি উঠে। সভায় সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের কারণে ডোপ টেস্টের পক্ষে মত দিতে বাধ্য হয় ছাত্র ইউনিয়ন সমর্থিত প্যানেলের সদস্যরা।  পরে সব প্রার্থীর বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।  জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে, অমর্ত্য রায়ের প্রার্থীতা বাতিলের ঘটনায় আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল। তারা  এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের মেহের আফরোজ শাঁওলি বলেন,   এই প্রশাসন জাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এই প্রশাসন আর আওয়ামী প্রশাসনের সাথে কোনো ফারাক নাই।  নির্বাচনের ৫ দিন আগে এই ধারা তুলে তারে সাবসাইড করে প্রশাসন চাচ্ছে পরিস্থিতি সরগরম করে জাকসু বানচাল করতে। সে রিপিট নিয়ে পড়ছিলো। এর মানে সে অনার্স পাশ করে নাই। অমর্ত্যদা আমাদের সহযোদ্ধা। তার সাথে অন্যায় হচ্ছে। তার প্রার্থীতা অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে।
সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিবলী নোমান বলেন,  বিজ্ঞপ্তিটা কমিশন ২৯ আগস্টের ভেতর দিলে আমি কিছু মনে করতাম না। তার মধ্যে তারা মনোনয়নপত্র দিলেন, যাচাই-বাছাই কইরা খসড়া প্রার্থী তালিকা দিলেন, মাগার ধরতে পারলেন না একজন ভিপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হইবো কিনা। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা দিলেন, ২৯ তারিখের পরও ভোটার তালিকায় নাম রাখলেন, এখন কমিশনের যা খুশি করার এখতিয়ার দেখায়া নির্বাচনের চারদিন আগে কন প্রার্থিতা বাতিল। তাইলে তো নির্বাচনের দিন সকালে দেখা যাইতে পারে যে নানান প্যানেলের আরো আরো প্রার্থী নাই হয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাকসু নির্বাচন

ডোপ টেস্টের পর ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতির প্রার্থীতা বাতিল

আপডেট সময় ১০:০৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অমর্ত্য রায়ের। বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের পর তার প্রার্থীতা বাতিল হয় বলে জানা গেছে। তিনি আসন্ন জাকসু নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। 
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনের সকল প্যানেলের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় ডোপ টেস্টের দাবি উঠে। সভায় সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের কারণে ডোপ টেস্টের পক্ষে মত দিতে বাধ্য হয় ছাত্র ইউনিয়ন সমর্থিত প্যানেলের সদস্যরা।  পরে সব প্রার্থীর বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।  জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে, অমর্ত্য রায়ের প্রার্থীতা বাতিলের ঘটনায় আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল। তারা  এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের মেহের আফরোজ শাঁওলি বলেন,   এই প্রশাসন জাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এই প্রশাসন আর আওয়ামী প্রশাসনের সাথে কোনো ফারাক নাই।  নির্বাচনের ৫ দিন আগে এই ধারা তুলে তারে সাবসাইড করে প্রশাসন চাচ্ছে পরিস্থিতি সরগরম করে জাকসু বানচাল করতে। সে রিপিট নিয়ে পড়ছিলো। এর মানে সে অনার্স পাশ করে নাই। অমর্ত্যদা আমাদের সহযোদ্ধা। তার সাথে অন্যায় হচ্ছে। তার প্রার্থীতা অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে।
সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিবলী নোমান বলেন,  বিজ্ঞপ্তিটা কমিশন ২৯ আগস্টের ভেতর দিলে আমি কিছু মনে করতাম না। তার মধ্যে তারা মনোনয়নপত্র দিলেন, যাচাই-বাছাই কইরা খসড়া প্রার্থী তালিকা দিলেন, মাগার ধরতে পারলেন না একজন ভিপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হইবো কিনা। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা দিলেন, ২৯ তারিখের পরও ভোটার তালিকায় নাম রাখলেন, এখন কমিশনের যা খুশি করার এখতিয়ার দেখায়া নির্বাচনের চারদিন আগে কন প্রার্থিতা বাতিল। তাইলে তো নির্বাচনের দিন সকালে দেখা যাইতে পারে যে নানান প্যানেলের আরো আরো প্রার্থী নাই হয়ে গেছে।