আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি নিজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। শুধু তামিমই নন, তার প্যানেলের আরো সাত থেকে আটজন প্রার্থীও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিসিবির নির্বাচন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তামিম ইকবাল ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি সমঝোতার পথে না গিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
সূত্র জানায়, তামিম ইকবাল ক্লাব কোটার ১২টি পরিচালক পদ তার ও বিএনপিপন্থী প্যানেলের জন্য দাবি করেছিলেন। কিন্তু ক্রীড়া উপদেষ্টা পক্ষ থেকে দেয়া হয় নয়টি পদ। এই প্রস্তাব মেনে নিতে না পেরে তিনি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে, যখন বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের বিরুদ্ধে রিট করেন ফারুক আহমেদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে এই ক্লাবগুলোকে শুরু থেকেই নির্বাচনের খসড়া তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। যদিও পরে চূড়ান্ত তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ফারুক আহমেদের রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সৈয়দ হাসান যুবায়েরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনরায় ওই ১৫ ক্লাবকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
গুঞ্জন রয়েছে, এই ১৫ ক্লাব ছিল তামিম ইকবালের প্যানেলের ভোট ব্যাংক। ক্লাবগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তামিমের প্যানেল চাপে পড়ে এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রাত থেকেই গুঞ্জন চললেও আজ বুধবার সকালে তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়।