বিএনপির এক পক্ষের জনসভায় আরেক পক্ষের হামলা: পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত ১৫

- আপডেট সময় ০৭:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে
মাদারীপুর-৩ (কালকিনি, ডাসার ও সদরের একাংশ) আসনে বিএনপি মনোনীত জনসভায় অপর পক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ হামলায় পুলিশ-সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে জেলার কালকিনি উপজেলা চত্বরে মাদারীপুর-৩ (কালকিনি, ডাসার ও সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) রেজাউল করিম রেজার জনসভায় এ ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় তার প্রতিপক্ষ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আনিসুর রহমান খোকন তালুকদারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রেজাউল করিম রেজা তার ভেরিফাইড আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কালকিনি উপজেলা চত্বরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এক জনসভার আয়োজন করেন সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) রেজাউল করিম রেজা। এই জনসভায় লাঠিসোঁটা নিয়ে হঠাৎ অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ হামলার ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোহাম্মদ সোহেল রানা, স্থানীয় সাংবাদিক ইব্রাহিম সবুজসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর উপজেলা চত্বরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হামলার ঘটনাটি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনের সমর্থকেরা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা জানিয়ে নিজের ভেরিফাইড আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন বিএনপি নেতা ও সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) রেজাউল করিম রেজা। তিনি আহত সমর্থকদের রক্তাক্ত ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন ‘আনিসুল হক তালুকদার খোকন’ Enough is enough!!! আমার ভাই, কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার জবাব আমি দেব।’ তবে এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল কেটে দেন।
অভিযোগের ব্যাপারে একাধিকবার কল দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনের মুঠোফোনে। তিনিও ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদকের ফোনটি ধরেননি। এজন্য তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, সমাবেশে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।