ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীকে রাতভর র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ, উত্তাল গণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) এক শিক্ষার্থীকে মেসে ডেকে নিয়ে রাতভর র‍্যাগিং, মারধর ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে। দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

 

গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের নলাম এলাকার একটি মেসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। পাশাপাশি উপাচার্য ও বিভাগীয় প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী শের আলী (২০) গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জের মাহমুদপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তরা হলেন— গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তু দেওয়ান (২২), মেহেদী হাসান (২১), আশরাফুল (২২) এবং তাদের সহযোগীরা। 

ভুক্তভোগী শের আলী জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ২৭ ব্যাচের সিনিয়র আশরাফুল তাঁকে ডাকেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি বাসায় ফেরেন। রাত ৯টার দিকে পরিচিত মাহিম ও মোহাইমিনের মাধ্যমে আবার বাসায় ডাকা হয় এবং বলা হয় খিচুড়ি খেতে। শের আলী বলেন, “খাওয়ার পর সবাইকে যেতে দেওয়া হয়, আমাকে আটকে রাখা হয়। আমাকে এক পায়ে দাঁড়াতে বলা হয়। এরপর আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়—‘কখনও হস্তমৈথুন করেছিস?’ উত্তরে অন্তু ভাই ৫–৬টি থাপ্পড় মারেন। পরে জোর করে প্যান্ট খুলিয়ে পেটে লাথি মারে। আশরাফুল এবং মেহেদীও মারধরে যোগ দেন। আমাকে একে একে পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। প্রায় ১৫–২০ জন সিনিয়র ছিল। ভোর ৪টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর মসজিদে গিয়ে বন্ধু মাহিম আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।”

তিনি আরও বলেন, “লাবিব ভাই হাসপাতালে এসে বলেছিলেন, এই বিষয়টা বাড়াতে চাই নাকি এখানেই শেষ করতে চাই। আমি চাই ঘটনার বিচার হোক।”

 

ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তাঁর সহপাঠী মাহিম খান বলেন, “বিকেলে আমরা কয়েকজন সিনিয়রদের দাওয়াতে যাই। সেখানে পেঁয়াজ-রসুন পরিষ্কার করার সময় শের আলী চোখে সমস্যা বলে। তখন রুমে গিয়ে চেঁচামেচি শুরু হয়। শের আলী বাসায় চলে আসে। পরে সিনিয়ররা আবার ডেকে নেয় এবং তাদের সবার কাছে দুঃখও চায়। খিচুড়ি খাওয়ার পর আমরা সবাই চলে যাই, কিন্তু শের আলীকে রেখে দেয়। পরে দেখি শের আলী কাঁদতে কাঁদতে বের হলো। তখনই বুঝলাম বড় সমস্যা হয়েছে। পরে রুমে এনে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”

বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অন্তু দেওয়ান (২৭ ব্যাচ) বলেন, “শের আলী আমাদের জুনিয়র। তাকে শাসন করতেই পারি, গায়ে হাত তোলার কিছু হয়নি। এ ধরণের কথা ভিত্তিহীন। এখানে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে, আমি নিজেও বিব্রত বোধ করছি।”

তিনি আরো বলেন, “খিচুড়ির দাওয়াতে আমি গিয়েছিলাম। সে বেয়াদবি করায় তাকে শাসানো, বকাবকি করা হয়, তবে ফিজিক্যালি এসল্ট করা হয়নি। এ ধরণের কিছুই হয়নি। আর এটা বাইরের ঘটনা। আমরা যারা সিনিয়র আছি, আমরা সমাধানের চেষ্টা করব। জুনিয়ররা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে, প্রশাসন সমাধান করবে এখন।”

অন্তু দেওয়ান সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।

 

অন্য এক অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অনুষদ প্রতিনিধি মেহেদী হাসান (২৮ ব্যাচ) বলেন, কাল আমাদের একটা খিচুড়ির দাওয়াত ছিলো। সেখানে যাওয়ার পর সিনিয়র জুনিয়র-ঝামেলা বাধে সেটা মিউচুয়াল করার চেষ্টা করি, সরি বলতে বলি। কিন্তু কথা না শোনায় আমি বাইরে চলে আসি। পরে ঘোড়া পীর মাজার থেকে জানতে পারি ওরে (শের আলী) গণস্বাস্থ্যে নেওয়া হয়েছে। ফজর পর্যন্ত আমি গণস্বাস্থ্যেই ছিলাম, পরে সেখানের ডাক্তাররাও বলে যে সমস্যা নাই চাইলে বাসায় নিতে পারেন। এরপরে আমি বাসায় চলে যাই। আর পরবর্তী ঘটনা জানিনা।

 

অভিযুক্ত লাবিব আসিফ লাবিব (২৮ ব্যাচ) বলেন, এঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি ওই দাওয়াতে উপস্থিত ছিলাম, রুমের বাইরে ছিলাম যে ভিক্টিম।তার বন্ধুর সাথেই। ভেতরে কি ঘটেছে না ঘটেছে এসব বিষয়ে কোনো কিছুই জানিনা।

গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. নকিব জাহাঙ্গীর বলেন, “রাতে ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হবে।”

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য সচিব কনক চন্দ্র রায় বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীকে দেখে এসেছি। ভিসি স্যার সহ বিষয়টি নিয়ে বসা হয়েছে। এই বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সভাপতি এবং আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক  রফিকুল আলম বলেন, বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইতিমধ্যে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারাহ্ ইকবালকে সভাপতি এবং প্রভাষক কাউছারকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এই তদন্ত কমিটিকে।

আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “ঘটনাটি জানা নেই। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীকে রাতভর র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ, উত্তাল গণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

আপডেট সময় ০৯:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) এক শিক্ষার্থীকে মেসে ডেকে নিয়ে রাতভর র‍্যাগিং, মারধর ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে। দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

 

গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের নলাম এলাকার একটি মেসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। পাশাপাশি উপাচার্য ও বিভাগীয় প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী শের আলী (২০) গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জের মাহমুদপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তরা হলেন— গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তু দেওয়ান (২২), মেহেদী হাসান (২১), আশরাফুল (২২) এবং তাদের সহযোগীরা। 

ভুক্তভোগী শের আলী জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ২৭ ব্যাচের সিনিয়র আশরাফুল তাঁকে ডাকেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি বাসায় ফেরেন। রাত ৯টার দিকে পরিচিত মাহিম ও মোহাইমিনের মাধ্যমে আবার বাসায় ডাকা হয় এবং বলা হয় খিচুড়ি খেতে। শের আলী বলেন, “খাওয়ার পর সবাইকে যেতে দেওয়া হয়, আমাকে আটকে রাখা হয়। আমাকে এক পায়ে দাঁড়াতে বলা হয়। এরপর আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়—‘কখনও হস্তমৈথুন করেছিস?’ উত্তরে অন্তু ভাই ৫–৬টি থাপ্পড় মারেন। পরে জোর করে প্যান্ট খুলিয়ে পেটে লাথি মারে। আশরাফুল এবং মেহেদীও মারধরে যোগ দেন। আমাকে একে একে পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। প্রায় ১৫–২০ জন সিনিয়র ছিল। ভোর ৪টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর মসজিদে গিয়ে বন্ধু মাহিম আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।”

তিনি আরও বলেন, “লাবিব ভাই হাসপাতালে এসে বলেছিলেন, এই বিষয়টা বাড়াতে চাই নাকি এখানেই শেষ করতে চাই। আমি চাই ঘটনার বিচার হোক।”

 

ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তাঁর সহপাঠী মাহিম খান বলেন, “বিকেলে আমরা কয়েকজন সিনিয়রদের দাওয়াতে যাই। সেখানে পেঁয়াজ-রসুন পরিষ্কার করার সময় শের আলী চোখে সমস্যা বলে। তখন রুমে গিয়ে চেঁচামেচি শুরু হয়। শের আলী বাসায় চলে আসে। পরে সিনিয়ররা আবার ডেকে নেয় এবং তাদের সবার কাছে দুঃখও চায়। খিচুড়ি খাওয়ার পর আমরা সবাই চলে যাই, কিন্তু শের আলীকে রেখে দেয়। পরে দেখি শের আলী কাঁদতে কাঁদতে বের হলো। তখনই বুঝলাম বড় সমস্যা হয়েছে। পরে রুমে এনে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”

বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অন্তু দেওয়ান (২৭ ব্যাচ) বলেন, “শের আলী আমাদের জুনিয়র। তাকে শাসন করতেই পারি, গায়ে হাত তোলার কিছু হয়নি। এ ধরণের কথা ভিত্তিহীন। এখানে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে, আমি নিজেও বিব্রত বোধ করছি।”

তিনি আরো বলেন, “খিচুড়ির দাওয়াতে আমি গিয়েছিলাম। সে বেয়াদবি করায় তাকে শাসানো, বকাবকি করা হয়, তবে ফিজিক্যালি এসল্ট করা হয়নি। এ ধরণের কিছুই হয়নি। আর এটা বাইরের ঘটনা। আমরা যারা সিনিয়র আছি, আমরা সমাধানের চেষ্টা করব। জুনিয়ররা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে, প্রশাসন সমাধান করবে এখন।”

অন্তু দেওয়ান সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।

 

অন্য এক অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অনুষদ প্রতিনিধি মেহেদী হাসান (২৮ ব্যাচ) বলেন, কাল আমাদের একটা খিচুড়ির দাওয়াত ছিলো। সেখানে যাওয়ার পর সিনিয়র জুনিয়র-ঝামেলা বাধে সেটা মিউচুয়াল করার চেষ্টা করি, সরি বলতে বলি। কিন্তু কথা না শোনায় আমি বাইরে চলে আসি। পরে ঘোড়া পীর মাজার থেকে জানতে পারি ওরে (শের আলী) গণস্বাস্থ্যে নেওয়া হয়েছে। ফজর পর্যন্ত আমি গণস্বাস্থ্যেই ছিলাম, পরে সেখানের ডাক্তাররাও বলে যে সমস্যা নাই চাইলে বাসায় নিতে পারেন। এরপরে আমি বাসায় চলে যাই। আর পরবর্তী ঘটনা জানিনা।

 

অভিযুক্ত লাবিব আসিফ লাবিব (২৮ ব্যাচ) বলেন, এঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি ওই দাওয়াতে উপস্থিত ছিলাম, রুমের বাইরে ছিলাম যে ভিক্টিম।তার বন্ধুর সাথেই। ভেতরে কি ঘটেছে না ঘটেছে এসব বিষয়ে কোনো কিছুই জানিনা।

গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. নকিব জাহাঙ্গীর বলেন, “রাতে ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হবে।”

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য সচিব কনক চন্দ্র রায় বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীকে দেখে এসেছি। ভিসি স্যার সহ বিষয়টি নিয়ে বসা হয়েছে। এই বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সভাপতি এবং আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক  রফিকুল আলম বলেন, বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইতিমধ্যে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারাহ্ ইকবালকে সভাপতি এবং প্রভাষক কাউছারকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এই তদন্ত কমিটিকে।

আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “ঘটনাটি জানা নেই। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”