মিরসরাইয়ে বিএনপির ছুরিকাঘাতে আপ বাংলাদেশ নেতা নিহত
- আপডেট সময় ১২:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিবেদক:
ট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে ছুরিকাঘাতে আপ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলা সংগঠক গাজী তাহমিদ খান নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর বাজারে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত আপবিডি নেতার নাম গাজী তাহমিদ খান (২০)। তিনি উপজেলার উত্তর হিঙ্গুলী এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে এবং আপ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলা সংগঠক।
গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নুরুল আমিনের (চেয়ারম্যান) অনুসারী এবং পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি দিদারুল আলম মিয়াজির নেতৃত্বে বিএনপির দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএনপির অস্ত্রধারীদের ছুরিকাঘাতে তাহমিদ খান গুরুতর আহত হন।
পরে তাহমিদকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। একই সংঘর্ষের ঘটনায় আরও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি দিদারুল আলম নিয়াজী বলেন, এটি দলীয় কোনো ব্যাপার নয়, ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে তিনি খুন হয়েছেন। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
মিরসরাই সংসদীয় আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নুরুল আমিন বলেন, ‘তাহমিদ হত্যাকাণ্ড বিএনপির অন্তঃকোন্দল বা দলীয় কোনো বিষয় নয়। দুটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সংঘর্ষে তাহমিদ নিহত হয়।‘
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হক বলেন, ‘গতকাল বিএনপির কিছু নেতা–কর্মীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দু-একজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছিলাম। পরে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাহমিদ নামের একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্ত করে আমরা দেখছি।’
এদিকে গাজী তাহমিদের খুনের নিন্দা জানিয়েছে আপ বাংলাদেশ। আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ (আরেফিন) তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে নিন্দা জানান এবং সারাদেশে বিএনপির অব্যাহত সন্ত্রাস এবং তাহমিদ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন।







