ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তরুণী বলেন, মিজান ও আমার প্রায় ছয় বছরের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে বহুবার স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করেছে

ছাত্রলীগ নেতা কুত্তা মিজানের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে তরুণী

নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:০৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩২২ বার পড়া হয়েছে

ছাত্রলীগ নেতা মিজান ওরফে কুত্তা মিজান ও তরুণী (বামে)

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে বছরের পর বছর মেলামেশা করে আসছেন ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মো. মিজান ঢালী ওরফে কুত্তা মিজান। একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা শুনে বিয়ের দাবিতে সোমবার রাতে মিজান ঢালীর বাড়িতে এসে উঠেন ওই তরুণী।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে গেলে মিজান ও তার ভগিনীপতি মহিউদ্দিন মহি গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর চড়াও হন ও হুমকি দেন। একপর্যায়ে মিজান ও তার ভগিনীপতি মহিউদ্দিন মহি মিলে ওই তরুণীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

সোমবার রাতে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের আমিনবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিজান ঢালী আমিনবাজার ঢালীবাড়ির আব্দুর রশিদ ঢালীর ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী ছয়গাঁও ইউনিয়নে।

ভুক্তভোগী তরুণী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রায় ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা মিজান ঢালীর। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বছরের পর বছর স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করে আসছেন; কিন্তু কিছু দিন আগে তরুণী জানতে পারেন মিজানের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক আছে। তাই তিনি মিজানকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে ওর বাড়িতে এসে উঠেন।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, মিজান ও আমার প্রায় ছয় বছরের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে বহুবার স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করে। এখন হঠাৎ করে ও আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। তাই আমি কোনো উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে ওর বাড়িতে এসে উঠি। এছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা নেই। মিজান যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে মৃত্যু ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।

মিজান ঢালীর মা লুৎফা বেগম বলেন, ও আমার সন্তান হলেও এখন আমি ওর পরিচয় দিতে চাই না। কারণ মিজান আমার মানসম্মান সব কিছু মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।

সিড্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল হাদী জিল্লু বলেন, আমার জানামতে মিজানের সঙ্গে এই তরুণীর প্রায় ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এ সম্পর্কের জের ধরে তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো চলাফেরা করেছে, এ বিষয়টি এলাকার বেশির ভাগ মানুষের জানা। রাতে মেয়েটি যখন ছেলের বাড়িতে আসে তখন মিজান কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে আমি উভয় পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

তরুণী বলেন, মিজান ও আমার প্রায় ছয় বছরের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে বহুবার স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করেছে

ছাত্রলীগ নেতা কুত্তা মিজানের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে তরুণী

আপডেট সময় ১১:০৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে বছরের পর বছর মেলামেশা করে আসছেন ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মো. মিজান ঢালী ওরফে কুত্তা মিজান। একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা শুনে বিয়ের দাবিতে সোমবার রাতে মিজান ঢালীর বাড়িতে এসে উঠেন ওই তরুণী।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে গেলে মিজান ও তার ভগিনীপতি মহিউদ্দিন মহি গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর চড়াও হন ও হুমকি দেন। একপর্যায়ে মিজান ও তার ভগিনীপতি মহিউদ্দিন মহি মিলে ওই তরুণীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

সোমবার রাতে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের আমিনবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিজান ঢালী আমিনবাজার ঢালীবাড়ির আব্দুর রশিদ ঢালীর ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী ছয়গাঁও ইউনিয়নে।

ভুক্তভোগী তরুণী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রায় ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা মিজান ঢালীর। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বছরের পর বছর স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করে আসছেন; কিন্তু কিছু দিন আগে তরুণী জানতে পারেন মিজানের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক আছে। তাই তিনি মিজানকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে ওর বাড়িতে এসে উঠেন।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, মিজান ও আমার প্রায় ছয় বছরের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে বহুবার স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করে। এখন হঠাৎ করে ও আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। তাই আমি কোনো উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে ওর বাড়িতে এসে উঠি। এছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা নেই। মিজান যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে মৃত্যু ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।

মিজান ঢালীর মা লুৎফা বেগম বলেন, ও আমার সন্তান হলেও এখন আমি ওর পরিচয় দিতে চাই না। কারণ মিজান আমার মানসম্মান সব কিছু মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।

সিড্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল হাদী জিল্লু বলেন, আমার জানামতে মিজানের সঙ্গে এই তরুণীর প্রায় ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এ সম্পর্কের জের ধরে তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো চলাফেরা করেছে, এ বিষয়টি এলাকার বেশির ভাগ মানুষের জানা। রাতে মেয়েটি যখন ছেলের বাড়িতে আসে তখন মিজান কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে আমি উভয় পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।