ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন পর্যবেক্ষকদের সাথে যা আলোচনা হলো আইনমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফ করছেন আইনমন্ত্রী

নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকায় এসেছেন মার্কিন পর্যবেক্ষক দল। এ সময় তারা আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কী কথা হলো তা জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, মার্কিন প্রাক-নির্বচনী প্রতিনিধিদল বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলেও নির্বাচন নিয়ে কোনো পরামর্শ দেননি।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল, সেই পরিবর্তন করা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, তপশিল ঘোষণার পর পরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট আছে, সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।

অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশের জনগণের কাছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে।

বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যকার পার্থক্য জানতে চাইলে সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি তারা, শুধু জানতে চেয়েছেন।

আনিসুল হক বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিশিয়ারি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিশিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। মামলাজট সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি সেটি বলেছি।

তিনি বলেন, সংলাপ হবে কি না জানতে চাননি। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সকল দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।

গত শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর সফরের পঞ্চম দিনে দলটির প্রতিনিধিরা সচিবালয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে।

প্রথমে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানান, তাদেরকে নিশ্চিত করা হয়েছে, দেশে বর্তমানে সহিংসতা ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামী নির্বাচনে অতীতের মতো সহিংসতার কোনো আশঙ্কা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন পর্যবেক্ষকদের সাথে যা আলোচনা হলো আইনমন্ত্রীর

আপডেট সময় ০৭:৪৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকায় এসেছেন মার্কিন পর্যবেক্ষক দল। এ সময় তারা আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কী কথা হলো তা জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, মার্কিন প্রাক-নির্বচনী প্রতিনিধিদল বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলেও নির্বাচন নিয়ে কোনো পরামর্শ দেননি।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল, সেই পরিবর্তন করা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, তপশিল ঘোষণার পর পরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট আছে, সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।

অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশের জনগণের কাছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে।

বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যকার পার্থক্য জানতে চাইলে সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি তারা, শুধু জানতে চেয়েছেন।

আনিসুল হক বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিশিয়ারি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিশিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। মামলাজট সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি সেটি বলেছি।

তিনি বলেন, সংলাপ হবে কি না জানতে চাননি। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সকল দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।

গত শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর সফরের পঞ্চম দিনে দলটির প্রতিনিধিরা সচিবালয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে।

প্রথমে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানান, তাদেরকে নিশ্চিত করা হয়েছে, দেশে বর্তমানে সহিংসতা ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামী নির্বাচনে অতীতের মতো সহিংসতার কোনো আশঙ্কা নেই।