ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিজার বন্ধে নীতিমালার আলোকে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৩:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে

অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম বন্ধে নীতিমালার আলোকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে জনসচেতনতা তৈরি করতে এ সংক্রান্ত নীতিমালাগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয় গত ১১ অক্টোবর।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসাথে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজার প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত ।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে তাদের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম এ রিট করেছিলেন।

ওই সময় রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগের বেশি সিজার কোনো দেশেই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে এটা প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ ভাগ।

২০১৯ সালের ২১ জুন বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ বলছে বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ।

বিষয়টিকে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, এতে বাবা-মায়েদের সন্তান জন্মদানে ব্যাপক পরিমাণে খরচের ভার বহন করতে হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিজার বন্ধে নীতিমালার আলোকে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেট সময় ০৩:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম বন্ধে নীতিমালার আলোকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে জনসচেতনতা তৈরি করতে এ সংক্রান্ত নীতিমালাগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয় গত ১১ অক্টোবর।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসাথে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজার প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত ।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে তাদের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম এ রিট করেছিলেন।

ওই সময় রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগের বেশি সিজার কোনো দেশেই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে এটা প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ ভাগ।

২০১৯ সালের ২১ জুন বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ বলছে বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ।

বিষয়টিকে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, এতে বাবা-মায়েদের সন্তান জন্মদানে ব্যাপক পরিমাণে খরচের ভার বহন করতে হচ্ছে।