ঢাকা ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ অবরোধ কর্মসূচীন দ্বিতীয় দিন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা দিল ছাত্রদল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:০১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকসহ ৬টি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় ফটকগুলোতে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ লেখা সংবলিত একটি প্লাকার্ড ঝুলিয়ে দেন তারা।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফটকগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ফেলেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

তালা দেওয়া ফটকগুলো হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট), জয় বাংলা গেইট (প্রান্তিক গেইট), মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন গেইট, বিশমাইল গেইট, আমবাগান সংলগ্ন গেইট ও ইসলামনগর সংলগ্ন গেইট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী মোটরসাইকেল যোগে এসে ফটকগুলোতে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় তালার সঙ্গে ‘সবার্ত্মক অবরোধ’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ডও ঝুলিয়ে দেন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ প্রধান ফটকে উপস্থিত হন। তিনি দায়িত্বরত গার্ডদের তালা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে সবগুলো গেইটের তালা ভেঙে ফেলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালা লাগানোর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, ছাত্রদল নেতা জোবায়ের আল মাহমুদ, নাইমুল হাসান কৌশিক, রেজাউল আমিন, সাহানুর রহমান, এম আর মুরাদ, রাজন মিয়া, নিশাত আব্দুল্লাহ, মুত্তাশিন ফুয়াদ, রাজু ও আল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও নিরাপত্তা প্রহরীরা জানান, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে হঠাৎ করে গেইট বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয়। আমরা তালা লাগাতে নিষেধ করলেও তারা শোনেননি। পরে কন্ট্রোল রুমে জানালে আমাদের তালা ভেঙে ফেলতে বলেন। ফলে আধা ঘণ্টার মধ্যেই তালা খুলে দেই।’

দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে তালা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রদল নেতা নাইমুল হাসান কৌশিক বলেন, সরকার যত বেশি বাধা দিবে, হামলা মামলা করবে- সরকারের পতন তত ভয়ংকর হবে। পতন না হওয়া পর্যন্ত এই সরকারকে রাজপথেই মোকাবিলা করব।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা বন্ধ করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখুন। পাশাপাশি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বিগত দিনের অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে দেশের মানুষের যৌক্তিক আন্দোলনে পাশে থেকে কৃতকর্মের কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করুন। অন্যথায় রাজপথে আপনাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বলেন, ব্যক্তিগত কাজে বের হয়েছিলাম। ক্যাম্পাস থেকে বের হতে গিয়ে দেখি গেইটগুলোতে তালা দেওয়া এবং ছাত্রদলের ব্যানার ঝুলছে। তবে কারা তালা লাগিয়েছে- তা আমার চোখে পড়েনি। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ অবরোধ কর্মসূচীন দ্বিতীয় দিন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা দিল ছাত্রদল

আপডেট সময় ০১:০১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকসহ ৬টি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় ফটকগুলোতে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ লেখা সংবলিত একটি প্লাকার্ড ঝুলিয়ে দেন তারা।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফটকগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ফেলেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

তালা দেওয়া ফটকগুলো হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট), জয় বাংলা গেইট (প্রান্তিক গেইট), মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন গেইট, বিশমাইল গেইট, আমবাগান সংলগ্ন গেইট ও ইসলামনগর সংলগ্ন গেইট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী মোটরসাইকেল যোগে এসে ফটকগুলোতে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় তালার সঙ্গে ‘সবার্ত্মক অবরোধ’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ডও ঝুলিয়ে দেন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ প্রধান ফটকে উপস্থিত হন। তিনি দায়িত্বরত গার্ডদের তালা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে সবগুলো গেইটের তালা ভেঙে ফেলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালা লাগানোর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, ছাত্রদল নেতা জোবায়ের আল মাহমুদ, নাইমুল হাসান কৌশিক, রেজাউল আমিন, সাহানুর রহমান, এম আর মুরাদ, রাজন মিয়া, নিশাত আব্দুল্লাহ, মুত্তাশিন ফুয়াদ, রাজু ও আল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও নিরাপত্তা প্রহরীরা জানান, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে হঠাৎ করে গেইট বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয়। আমরা তালা লাগাতে নিষেধ করলেও তারা শোনেননি। পরে কন্ট্রোল রুমে জানালে আমাদের তালা ভেঙে ফেলতে বলেন। ফলে আধা ঘণ্টার মধ্যেই তালা খুলে দেই।’

দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে তালা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রদল নেতা নাইমুল হাসান কৌশিক বলেন, সরকার যত বেশি বাধা দিবে, হামলা মামলা করবে- সরকারের পতন তত ভয়ংকর হবে। পতন না হওয়া পর্যন্ত এই সরকারকে রাজপথেই মোকাবিলা করব।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা বন্ধ করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখুন। পাশাপাশি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বিগত দিনের অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে দেশের মানুষের যৌক্তিক আন্দোলনে পাশে থেকে কৃতকর্মের কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করুন। অন্যথায় রাজপথে আপনাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বলেন, ব্যক্তিগত কাজে বের হয়েছিলাম। ক্যাম্পাস থেকে বের হতে গিয়ে দেখি গেইটগুলোতে তালা দেওয়া এবং ছাত্রদলের ব্যানার ঝুলছে। তবে কারা তালা লাগিয়েছে- তা আমার চোখে পড়েনি। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি।