ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে পোস্টার লাগানো নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • / ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

পোস্টার লাগানো নিয়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তার এক সমর্থককে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবালয় থানার সামনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম খানের অনুসারীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া গুলিবর্ষণকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সেখানে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

আর এ অভিযোগের তীর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান খান জানুর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জয় ঘোষ শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। এছাড়া মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (এসএম জাহিদ) ঘটনাস্থল ও শিবালয় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কোনো ধরনের গুলির ঘটনা ঘটেনি।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে আরিচা বোয়ালী ডাক্তারখানা এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম খানের একটি নির্বাচনি ক্যাম্পের চেয়ার ভাঙচুর করেন ফাহিম খান রনি। এ সময় রহিম খানের সমর্থক জয় ঘোষকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড পিস্তলের গুলি বর্ষণ করেন তিনি। স্থানীয়রা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনি সাংবাদিকদের কাছে গুলি ছোঁড়ার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, তার পিতার (রেজাউর রহমান জানুর) নির্বাচনি পোস্টার ছেড়া নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছে মাত্র। কোনো গুলি কিংবা নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর হয়নি।

এ ব্যাপারে শিবালয় থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় জয় ঘোষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন তাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানিকগঞ্জে পোস্টার লাগানো নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ

আপডেট সময় ১২:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

পোস্টার লাগানো নিয়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তার এক সমর্থককে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবালয় থানার সামনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম খানের অনুসারীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া গুলিবর্ষণকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সেখানে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

আর এ অভিযোগের তীর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান খান জানুর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জয় ঘোষ শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। এছাড়া মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (এসএম জাহিদ) ঘটনাস্থল ও শিবালয় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কোনো ধরনের গুলির ঘটনা ঘটেনি।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে আরিচা বোয়ালী ডাক্তারখানা এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম খানের একটি নির্বাচনি ক্যাম্পের চেয়ার ভাঙচুর করেন ফাহিম খান রনি। এ সময় রহিম খানের সমর্থক জয় ঘোষকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড পিস্তলের গুলি বর্ষণ করেন তিনি। স্থানীয়রা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনি সাংবাদিকদের কাছে গুলি ছোঁড়ার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, তার পিতার (রেজাউর রহমান জানুর) নির্বাচনি পোস্টার ছেড়া নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছে মাত্র। কোনো গুলি কিংবা নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর হয়নি।

এ ব্যাপারে শিবালয় থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় জয় ঘোষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন তাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।