ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ১২:০২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২১৪ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আলজাজিরা টিভি চ্যানেলকে।

মন্ত্রণালয় জানায়, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ২০৭ এবং আহতের সংখ্যা ৪০,৬৫২।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনিদের ৭০ শতাংশ শিশু ও নারী। তারা আরও জানায়, সংঘাতের শুরুর পর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ২৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।

ডিসেম্বরে প্রথম সকালে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে এবং স্ট্রিপে আবার শত্রুতা শুরু করার ঘোষণা দেয়।

এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভেতরে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চায় ইসরায়েল। এরই মধ্যে যুদ্ধ-পরবর্তী এই পরিকল্পনার কথা বেশ কয়েকটি আরব দেশকে জানিয়ে দিয়েছে তেলআবিব। গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে একমত হয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি বাড়ানো নিয়ে ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি আবারও কার্যকর করতে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে কাতার।

ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই যুদ্ধ শেষে গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে সে প্রশ্ন বারবার সামনে আসছে। এ বিষয়ে একেক সময় একেক খবর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

তিনটি আঞ্চলিক সূত্রের বরাতে রয়টার্স বলেছে, মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে গাজায় বাফার জোন তৈরি করার পরিকল্পনার কথা অবহিত করেছে ইসরায়েল। সৌদি আরব ও তুরস্কও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলর কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও সৌদি আরবের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তেলআবিবের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল

আপডেট সময় ১২:০২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আলজাজিরা টিভি চ্যানেলকে।

মন্ত্রণালয় জানায়, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ২০৭ এবং আহতের সংখ্যা ৪০,৬৫২।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনিদের ৭০ শতাংশ শিশু ও নারী। তারা আরও জানায়, সংঘাতের শুরুর পর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ২৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।

ডিসেম্বরে প্রথম সকালে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে এবং স্ট্রিপে আবার শত্রুতা শুরু করার ঘোষণা দেয়।

এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভেতরে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চায় ইসরায়েল। এরই মধ্যে যুদ্ধ-পরবর্তী এই পরিকল্পনার কথা বেশ কয়েকটি আরব দেশকে জানিয়ে দিয়েছে তেলআবিব। গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে একমত হয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি বাড়ানো নিয়ে ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি আবারও কার্যকর করতে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে কাতার।

ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই যুদ্ধ শেষে গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে সে প্রশ্ন বারবার সামনে আসছে। এ বিষয়ে একেক সময় একেক খবর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

তিনটি আঞ্চলিক সূত্রের বরাতে রয়টার্স বলেছে, মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে গাজায় বাফার জোন তৈরি করার পরিকল্পনার কথা অবহিত করেছে ইসরায়েল। সৌদি আরব ও তুরস্কও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলর কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও সৌদি আরবের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তেলআবিবের।