ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইভ্যালির বিরুদ্ধে কয়েক হাজার গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে

মামলা নিষ্পত্তির আগেই নতুন অফার, ইভ্যালিকে শোকজ

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৩:৫১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪৭ বার পড়া হয়েছে

পুরনো দেনা নিয়ে কয়েক হাজার মামলা নিষ্পত্তির আগেই নতুন অফারের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার ঘোষণা দেওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

গত মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে প্রায় সাত হাজার মামলা আছে। মামলা নিষ্পত্তি না করে তারা নতুন করে অফার দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এজন্য ‘শোকজ লেটার’ পাঠানো হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল কারাগারে থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এতদিন মামলা নিষ্পত্তি করতে পারেনি বলে তিনি জানান।

মোহাম্মদ রাসেল সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হয়েছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। আমরা অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে চাই। শিগগির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে এ সংশ্লিষ্ট চিঠি পাঠাব।’

ইভ্যালির বিরুদ্ধে কয়েক হাজার গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এরপর প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শর্ত সাপেক্ষে গত ৬ এপ্রিল শামীমা নাসরিন জামিনে মুক্ত হন।

আর গত ডিসেম্বরে জামিনে মুক্ত হন মোহাম্মদ রাসেল। এরপর গত ২৯ ডিসেম্বর বিপুল ছাড় অফারে ’বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৮০ হাজারের বেশি অর্ডার  পায় বলে জানিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন গেটওয়েতে ইভ্যালির গ্রাহকদের ২৫ কোটি টাকার মতো আটকে ছিল। নগদের কাছে ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বিকাশের কাছে ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা, এবং এসএসএল কমার্সের কাছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আটকে ছিল। এর মধ্যে থেকে গত নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৮২ জন গ্রাহককে মোট ১০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইভ্যালির বিরুদ্ধে কয়েক হাজার গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে

মামলা নিষ্পত্তির আগেই নতুন অফার, ইভ্যালিকে শোকজ

আপডেট সময় ০৩:৫১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

পুরনো দেনা নিয়ে কয়েক হাজার মামলা নিষ্পত্তির আগেই নতুন অফারের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার ঘোষণা দেওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

গত মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে প্রায় সাত হাজার মামলা আছে। মামলা নিষ্পত্তি না করে তারা নতুন করে অফার দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এজন্য ‘শোকজ লেটার’ পাঠানো হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল কারাগারে থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এতদিন মামলা নিষ্পত্তি করতে পারেনি বলে তিনি জানান।

মোহাম্মদ রাসেল সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হয়েছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। আমরা অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে চাই। শিগগির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে এ সংশ্লিষ্ট চিঠি পাঠাব।’

ইভ্যালির বিরুদ্ধে কয়েক হাজার গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এরপর প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শর্ত সাপেক্ষে গত ৬ এপ্রিল শামীমা নাসরিন জামিনে মুক্ত হন।

আর গত ডিসেম্বরে জামিনে মুক্ত হন মোহাম্মদ রাসেল। এরপর গত ২৯ ডিসেম্বর বিপুল ছাড় অফারে ’বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৮০ হাজারের বেশি অর্ডার  পায় বলে জানিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন গেটওয়েতে ইভ্যালির গ্রাহকদের ২৫ কোটি টাকার মতো আটকে ছিল। নগদের কাছে ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বিকাশের কাছে ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা, এবং এসএসএল কমার্সের কাছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আটকে ছিল। এর মধ্যে থেকে গত নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৮২ জন গ্রাহককে মোট ১০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।