তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন
প্রচারণার পর ভ্যান ভাড়া না দেওয়ার অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে
![](https://newssitedesign.com/newspaperpro/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় ১০:৫১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
দিনভর ভ্যানে করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়েছে নৌকার পক্ষে। দিনশেষে ভ্যান চালকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া হয়নি। মজুরি না পেয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক‘শ ভ্যান চালক। নাটোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ভ্যান চালকদের সঙ্গে এমন আচরণ করায় নির্বাচনী এলাকার ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এটি ছিল তার শেষ বিতর্কিত ঘটনা। এর আগে নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান প্রকাশ্যে সমর্থককে চড়, শিশুকে থাপ্পড় মারা এবং ট্রাক প্রতীকের ভোটারদের বেঁধে রাখার মতো ঘটনায় বিতর্কিত হয়েছিলেন। মূহুর্তেই এসব ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালও হয়ে যায়। এছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তাকে অফিস কক্ষে ঢুকে শারীরিক নির্যাতনের পর হাত কেটে নেওয়ার হুমকিও দেন এই প্রার্থীর ভাগ্নে।
দলীয় সূত্র মতে, সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নাটোর-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। এবারও তিনি নৌকা পেয়েছেন। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) প্রায় তিন শতাধিক ভ্যানে করে নৌকার প্রচারণা চালানো হয়। ৫০০ টাকা চুক্তিতে প্রচারণা চালানো হলেও দিনশেষে প্রতিটি ভ্যান চালককে ১০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যায় ভ্যান চালকরা বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে ভ্যান চালকদের থাপ্পড় মারেন সিদ্দিকুরের কর্মী লুৎফর রহমান। এ ঘটনায় নৌকার এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
নৌকার প্রচারণায় অংশ নেওয়া ভ্যানচালক জাভেদ আলী, আলম প্রামাণিক ও ছোবহান মন্ডলসহ অন্তত ২০ জন ইত্তেফাককে বলেন, ৫০০ টাকা মজুরি দেওয়ার শর্তে তাদের ভ্যান প্রচারণার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী ভাড়ার টাকা পাননি তারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্যানে করে লোকজন নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নৌকার পক্ষে প্রচারণা করেছেন। দুপুরে খাবারও দেওয়া হয়নি। দিনশেষে ভাড়া হিসেবে ১০০ টাকা দিয়েছে প্রার্থীর লোকজন। প্রতিবাদ করায় ভ্যানচালকদের কয়েকজনকে মারধরও করেছে।
তারা বলেন, দরিদ্র হওয়ায় সারা দিনের মজুরির টাকা দিয়ে বাজার করে বাড়ি ফিরেন তারা। শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ টাকা পাননি। তারা এই ঘটনার বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার পক্ষে নৌকার কর্মী লুৎফর রহমান বলেন, টাকা দেওয়ার সময় একজন ছবি তোলায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে টাকা না দেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।