ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতা-কর্মী নিহত

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ১২:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১২৫ বার পড়া হয়েছে

৪ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুরে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ছাত্রলীগের চার নেতা। শুক্রবার মধ্যরাতে সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রাত ১টার দিকে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আজ শনিবার বিকেলে তাদের দাফন ও সৎকার করার কথা রয়েছে।

নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার পানিহারা হাটির আরছ মিয়ার ছেলে তমাল(২৫), একই উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের রনদ্বীপ পালের ছেলে নেহাল (২৬), কমলাবাড়ি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের, নিজপাট ইউনিয়নের হারুন উর রশিদের ছেলে আলী হোসেন সুমন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মধ্যরাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল এলাকা থেকে জৈন্তাপুরে ফিরছিলেন চার নেতা। তারা প্রায় রাতে বেড়াতে যান। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ফেরার পথে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। মধ্যরাত হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কারও নজরে আসেনি। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই সময় অক্সিজেন সরবারাহ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কোয়ার্টারে হামলা চালায়। এতে একজন ডাক্তারসহ কয়েক জন আহত হন। ওই সময় প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চার নেতাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে তাদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ওসমানী হাসপাতালে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও ছাত্রলীগের নেতারা।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাতে হাসপাতালে ঝামেলা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধ্যরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতা-কর্মী নিহত

আপডেট সময় ১২:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুরে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ছাত্রলীগের চার নেতা। শুক্রবার মধ্যরাতে সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রাত ১টার দিকে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আজ শনিবার বিকেলে তাদের দাফন ও সৎকার করার কথা রয়েছে।

নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার পানিহারা হাটির আরছ মিয়ার ছেলে তমাল(২৫), একই উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের রনদ্বীপ পালের ছেলে নেহাল (২৬), কমলাবাড়ি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের, নিজপাট ইউনিয়নের হারুন উর রশিদের ছেলে আলী হোসেন সুমন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মধ্যরাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল এলাকা থেকে জৈন্তাপুরে ফিরছিলেন চার নেতা। তারা প্রায় রাতে বেড়াতে যান। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ফেরার পথে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। মধ্যরাত হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কারও নজরে আসেনি। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই সময় অক্সিজেন সরবারাহ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কোয়ার্টারে হামলা চালায়। এতে একজন ডাক্তারসহ কয়েক জন আহত হন। ওই সময় প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চার নেতাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে তাদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ওসমানী হাসপাতালে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও ছাত্রলীগের নেতারা।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাতে হাসপাতালে ঝামেলা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।