মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে নোঙর করা ফেরি রজনীগন্ধাডুবির ঘটনার ৬ দিন পর উদ্ধার হলো নিখোঁজ ফেরির ইঞ্জিন চালক হুমায়ুন কবিরের মরদেহ।
সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, স্থানীরা মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধারের পর স্বজনরা তা শনাক্ত করে।
এদিকে, ৬ষ্ঠ দিনের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে আরো একটি ট্রাক। এনিয়ে এখন পর্যন্ত উদ্ধার হলো ৫টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান। ৬ষ্ঠ দিনের অভিযানে অংশ নেয় নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ঝিনাই-১ নামের একটি স্ক্যানার জাহাজ। নদীর তলদেশে ডুবে যাওয়া ফেরিটির অবস্থান নির্ণয়ে সহায়তা করবে এ জাহাজটি।
এছাড়াও কাজ করছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়, হামজা ও রুস্তম। অভিযানে সহায়তা করছে বিআইডব্লিউটিএ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে, তলা ফেটে ৯টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানসহ ডুবে যায় রজনীগন্ধা ফেরি।
এর আগে, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি রজনীগন্ধা। ফেরিটিতে নয়টি মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ছিল। রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে ফেরিটি। দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল।