ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্র হত্যার ২১ বছর পর ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৫:৪২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪৭ বার পড়া হয়েছে

হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড । ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- জয়পুরহাট শহরের দেওয়ান পাড়া এলাকার মৃত ইউনুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদিন, শান্তিনগর এলাকার শাহজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন, আরাফাত নগরের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ বাবু, দক্ষিণ দেওয়ানপাড়ার মোহাম্মদ আলী মোখলেসারের ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর, একই এলাকার ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল, দেওয়ান পাড়ার আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, তেঘর বিশার কাবেজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেবীপুর কাজী পাড়ার মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে শাহী, দেবীপুর মন্ডল পাড়ার রফিকের ছেলে সুজন, কাজী পাড়ার নুর হোসেন নুমুর ছেলে রহিম, পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ধুরইল আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেদিন আসামীরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর ভিটি এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে মোয়াজ্জেমকে আসামীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে জামালগঞ্জ রোডের একটি আম গাছের নিচে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। এরপর ঘটনার দিন রাতে মোয়াজ্জেমকে হাসপাতালে নেয়া হলে সে চিকিৎসাধীন মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে পরের দিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্কুলছাত্র হত্যার ২১ বছর পর ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

আপডেট সময় ০৫:৪২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- জয়পুরহাট শহরের দেওয়ান পাড়া এলাকার মৃত ইউনুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদিন, শান্তিনগর এলাকার শাহজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন, আরাফাত নগরের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ বাবু, দক্ষিণ দেওয়ানপাড়ার মোহাম্মদ আলী মোখলেসারের ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর, একই এলাকার ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল, দেওয়ান পাড়ার আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, তেঘর বিশার কাবেজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেবীপুর কাজী পাড়ার মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে শাহী, দেবীপুর মন্ডল পাড়ার রফিকের ছেলে সুজন, কাজী পাড়ার নুর হোসেন নুমুর ছেলে রহিম, পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ধুরইল আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেদিন আসামীরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর ভিটি এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে মোয়াজ্জেমকে আসামীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে জামালগঞ্জ রোডের একটি আম গাছের নিচে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। এরপর ঘটনার দিন রাতে মোয়াজ্জেমকে হাসপাতালে নেয়া হলে সে চিকিৎসাধীন মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে পরের দিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।