ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় এমপির শ্যালিকা ছেলেসহ কারাগারে

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৪:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০১ বার পড়া হয়েছে

গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার মুহুর্ত। ছবি: সংগৃহিত

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের শ্যালিকা নুসরাত জাহান (৫৫) ও তাঁর ছেলে মো. রাজিউর রহমানকে (৪০) সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার নিজ বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের পক্ষে সেনবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন মো. আনোয়ার হোসেন (৫৫)। তিনি মোরশেদ আলমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সংসদ সদস্যের বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হলেও আসামিদের সঙ্গে সংসদ সদস্যের আত্মীয়তার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

মামলার এজাহারে মো. আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, তাঁর কর্মস্থল বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের নির্বাচনী প্রচারণা চলার সময় গত ৩ জানুয়ারি দুই আসামি নুসরাত জাহান ও তাঁর ছেলে রাজিউর রহমান সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের দিলদার মার্কেটে এসে বাদী আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে মোরশেদ আলমের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দেওয়া না হলে ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসী পাঠিয়ে প্রার্থীকে হত্যার হুমকিও দেন তাঁরা। পাশাপাশি প্রার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, চাহিদা অনুযায়ী আসামিরা টাকা না পেয়ে ৫ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নুসরাত জাহান তাঁর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম ও তাঁর পরিবারের নামে নানা অপপ্রচার চালান। এ ছাড়া নুসরাত জাহানের ছেলে রাজিউর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর ও মানহানিকর মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন আজ শনিবার দুপুরে বলেন, সংসদ সদস্যের পক্ষে তাঁর প্রতিনিধি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি রুজু করা হয়েছে এবং মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় এমপির শ্যালিকা ছেলেসহ কারাগারে

আপডেট সময় ০৪:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের শ্যালিকা নুসরাত জাহান (৫৫) ও তাঁর ছেলে মো. রাজিউর রহমানকে (৪০) সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার নিজ বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের পক্ষে সেনবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন মো. আনোয়ার হোসেন (৫৫)। তিনি মোরশেদ আলমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সংসদ সদস্যের বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হলেও আসামিদের সঙ্গে সংসদ সদস্যের আত্মীয়তার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

মামলার এজাহারে মো. আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, তাঁর কর্মস্থল বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের নির্বাচনী প্রচারণা চলার সময় গত ৩ জানুয়ারি দুই আসামি নুসরাত জাহান ও তাঁর ছেলে রাজিউর রহমান সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের দিলদার মার্কেটে এসে বাদী আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে মোরশেদ আলমের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দেওয়া না হলে ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসী পাঠিয়ে প্রার্থীকে হত্যার হুমকিও দেন তাঁরা। পাশাপাশি প্রার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, চাহিদা অনুযায়ী আসামিরা টাকা না পেয়ে ৫ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নুসরাত জাহান তাঁর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম ও তাঁর পরিবারের নামে নানা অপপ্রচার চালান। এ ছাড়া নুসরাত জাহানের ছেলে রাজিউর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর ও মানহানিকর মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন আজ শনিবার দুপুরে বলেন, সংসদ সদস্যের পক্ষে তাঁর প্রতিনিধি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি রুজু করা হয়েছে এবং মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।