রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে আগুন
ট্রেনে আগুন: ৪০ দিন পর মরদেহ পেল পরিবার
- আপডেট সময় ০২:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৭১ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন পর বুঝিয়ে দেওয়া হলো রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের আগুনে নিহত ৪ জনের মরদেহ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ।
প্রায় দেড় মাস পর মরদেহ বুঝে পেয়ে চাপা কান্নায় এসব স্বজনদের মর্গ ছাড়তে দেখা যায়। বিচার দাবি করে স্বজনরা বললেন, রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে এভাবে যেন আর কাউকে প্রাণ হারাতে না হয়।
এদিন রাজবাড়ির আবু তালহা (২৩), চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও এলিনা ইয়াসমিন (৪৪) ও পুরান ঢাকার নাতাশা জিয়াসমিন নেকির (২৫) মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদাউস আহাম্মেদ বিশ্বাস জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মরদেহ ৪টি একেবারেই পোড়া ছিল। এজন্য চেহারা দেখে শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরে আদালতের আদেশক্রমে দাবীকৃত স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে ক্রস ম্যাচিং করা হয়। এর মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়। আজ মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হলো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশার জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রিমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেছে। আমার বাচ্চা সারাজীবন কী বলবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে? এগুলো থেকে মুক্তি চাই।
নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহাম্মেদ বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝিয়ে পেলাম। এই ৪০ দিন যে আমাদের পরিবার কিভাবে কেটেছে তা বুঝানো যাবেনা। এরকম ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।