হাইকোর্টে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দাখিল করা সিদ্ধান্ত সংবলিত একটি চিঠিতে এসেছে
ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করতে বলেছে(মাউশি)
- আপডেট সময় ১০:২১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ২৭০ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। হাইকোর্টে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দাখিল করা সিদ্ধান্ত সংবলিত একটি চিঠিতে (স্মারক) এমন তথ্য এসেছে।
এক রিট আবেদনের ধারাবাহিকতায় বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বুধবার চিঠিটি তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মাউশির ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে হলফনামা আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে আগামী ৬ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন (কমপ্লায়েন্স) দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নথিপত্র থেকে জানা যায়, নির্দিষ্ট বয়সসীমার বাইরে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে লটারিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি ওই রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এর আগে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সসীমা অনুসরণ না করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে লটারিতে উত্তীর্ণদের ফলাফল বাতিল বিষয়ে রিট আবেদনকারীদের একজন (মোছা. পারভিন আকতার) ১৭ জানুয়ারি মাউশির মহাপরিচালক
বরাবরে আবেদন করেন। হাইকোর্ট এই আবেদনটি ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।
আগের ধারাবাহিকতায় ১১ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে। সেদিন আবেদন নিষ্পত্তি বিষয়ে হলফনামা আকারে দাখিল করার জন্য সময়ের আরজি জানানো হলে আদালত ২০ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন। ধার্য তারিখে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ বরাবরে ১১ ফেব্রুয়ারি অফিস আদেশ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ওই অফিস আদেশ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীকে ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।
আদালতে হাজির হন মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান মাউশির মহাপরিচালকের সিদ্ধান্ত সংবলিত চিঠি তুলে ধরে শুনানি করেন। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।