ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যরাতে চা পানের দাওয়াত, যৌন নিপীড়নের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:-
  • আপডেট সময় ০৩:২৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীকে অশোভন ইঙ্গিত ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভুগী নারী শিক্ষার্থী। ঘটনার সত্যতা মিললে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত এক শিক্ষার্থীকে মেসেজ দিয়ে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অঙ্ক বোঝানোর নামে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকতেন সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহা। শাড়ি পরে দেখা করার জন্য বলতেন। কিন্তু সেসব অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই শিক্ষকের কোর্সে নম্বর কমিয়ে দিতেন এবং থিসিস পেপার আটকে দেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করতেন।

জানা গেছে, জুনিয়র সহকর্মীর এমন অনৈতিক কাজে প্রত্যক্ষ-পরক্ষোভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধানকে মৌখিকভেবে এ বিষয়ে জানালে, সংকট উত্তরণের জন্য ভুক্তভোগীকে বেধে দেন একাধিক শর্ত। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বিভাগের অন্য দুই সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক রিমন সরকার ও সহকারী অধ্যাপক ফাহামিদা সুলতানার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে দেয়া।

এরপর রোববার (৩ মার্চ) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাকে মধ্য রাতে চা পানের দাওয়াতসহ একাধিক অনৈতিক প্রস্তাবের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করেন। শিক্ষকের এমন কাণ্ডে ফুঁসে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৪ মার্চ) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী।

এদিকে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার সাজন সাহার ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ঘটনার সত্যতা মিললে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করব। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো, তাদের শিক্ষার পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধ্যরাতে চা পানের দাওয়াত, যৌন নিপীড়নের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৩:২৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীকে অশোভন ইঙ্গিত ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভুগী নারী শিক্ষার্থী। ঘটনার সত্যতা মিললে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত এক শিক্ষার্থীকে মেসেজ দিয়ে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অঙ্ক বোঝানোর নামে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকতেন সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহা। শাড়ি পরে দেখা করার জন্য বলতেন। কিন্তু সেসব অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই শিক্ষকের কোর্সে নম্বর কমিয়ে দিতেন এবং থিসিস পেপার আটকে দেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করতেন।

জানা গেছে, জুনিয়র সহকর্মীর এমন অনৈতিক কাজে প্রত্যক্ষ-পরক্ষোভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধানকে মৌখিকভেবে এ বিষয়ে জানালে, সংকট উত্তরণের জন্য ভুক্তভোগীকে বেধে দেন একাধিক শর্ত। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বিভাগের অন্য দুই সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক রিমন সরকার ও সহকারী অধ্যাপক ফাহামিদা সুলতানার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে দেয়া।

এরপর রোববার (৩ মার্চ) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাকে মধ্য রাতে চা পানের দাওয়াতসহ একাধিক অনৈতিক প্রস্তাবের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করেন। শিক্ষকের এমন কাণ্ডে ফুঁসে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৪ মার্চ) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী।

এদিকে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার সাজন সাহার ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ঘটনার সত্যতা মিললে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করব। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো, তাদের শিক্ষার পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।