যে ভাবে বদলে গেলেন ক্রিকেটার শরিফুল
- আপডেট সময় ১২:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
- / ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
নতুন বল মানেই শরীফুল ইসলাম। আর শরীফুল মানেই ইনসুইং, এলবিডব্লু, না হয় বোল্ড। আর নয়তো কট বিহাইন্ড। বাংলাদেশ দলের বোলিং ইনিংস শুরুর আগে এই আলোচনাটা এখন খুবই ‘কমন’। শরীফুলের ওভার মানেই কিছু না কিছু হবেই। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলের সময় বিসিবির এক আম্পায়ার শরীফুলের ইনসুইং নিয়ে মজা করতে করতেই বলছিলেন, ‘এমন অবস্থা হয়েছে যে শরীফুলের ওভার মানেই আপিল। মানে প্রথম ওভার থেকেই এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত দেওয়ার চাপ।’
তাহলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কী অবস্থা হয় ভেবে দেখুন। ইনিংসের শুরুতে যেকোনো ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাসই একটু নড়বড়ে থাকে। ক্রিকেটের সবচেয়ে ভয়ংকর ডেলিভারিটা যদি তখনই এসে প্যাডে আঘাত করে, তখন আর খুব বেশি কিছু করার থাকে না। হ্যাঁ, বাঁহাতি পেসারের গতিময় ইনসুইং মেশানো বলটিকেই ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ‘ক্রিকেটের ভয়ংকরতম ডেলিভারি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। মিচেল স্টার্ক, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা এ বল করেন নিয়মিতই। এদিক দিয়ে গত এক-দেড় বছরে তাঁদের কাছাকাছি মানে পৌঁছে গেছেন বাংলাদেশের শরীফুল
যে বলটির জন্য শরীফুল এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা বাঁহাতি পেসারদেরই একজন, সেটি তাঁর সহজাত বল নয়। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই শরীফুলের বোলিংয়ের মূল শক্তি আক্রমণাত্মক মানসিকতা। দীর্ঘদেহী ও বাঁহাতি হওয়ায় বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দ্রুতই সাফল্য পেয়েছেন। জাতীয় দলের প্রথম এক বছরও শরীফুল তাঁর বোলিংয়ে নতুন কোনো দক্ষতা যোগ করেননি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই প্রতিপক্ষ দলের অ্যানালিস্টের সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলা। টিকে থাকতে হলে নিজেকে নিয়মিত বদলানো। শরীফুলও তা–ই করেছেন। অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে কবজির অবস্থান নিয়ে কাজ করে নিজের দক্ষতায় যোগ করে নেন ভয়ংকর সেই ইনসুইং। যা এখন শরীফুলের ‘সেকেন্ড-নেচার’, ক্রিকেটের ভাষায় ‘স্টক ডেলিভারি’।
অভিষেকের পর ২০২২ সাল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শরীফুল বল ভেতরে এনেছেন মাত্র ১০.৪ ভাগ, বেরিয়েও গেছে ১০.৬ ভাগ। সে সময় ইনসুইংয়ে তাঁর ইকোনমি ছিল ৮, আউটসুইংয়ে ৯.৬। ২০২৩ সাল থেকে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগ পর্যন্ত শরীফুল ইনসুইং করিয়েছেন শতকরা ২৫.৯ ভাগ বল, বেড়েছে আউটসুইংও (৩৩.৩ ভাগ)। দুই ধরনের বলেই কমে এসেছে ইকোনমি। ২০২৩ সাল থেকে ইনসুইংয়ে শরীফুলের ইকোনমি ৬.৯, আউটসুইংয়ে ৫.২। ওয়ানডে ক্রিকেটেও ইনসুইং ক্যারিয়ারের প্রথম দুই বছরের চেয়ে দ্বিগুণ (১৩.১ থেকে ২৮.৬ ভাগ) বেড়েছে। ওয়ানডেতে আউটসুইং অবশ্য তেমন বাড়েনি (২০.৭ থেকে ২১.৪ ভাগ)।