ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও যানজটে অসহনীয় ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

গ্রীষ্মের আগেই গরমের প্রখরতা দেখাচ্ছে বসন্তের মধ্যভাগ। ভ্যাপসা গরমের মধ্যেই স্বস্তির বার্তা নিয়ে এলো একপশলা বৃষ্টি। তবে স্বস্তির মধ্যেও ছিল ভোগান্তির চিত্র। হঠাৎ বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়েন রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা।

বৃষ্টির মধ্যে ‘কারিগরি জটিলতায়’ ঢাকার মেট্রোরেল আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকায় ইফতারের আগে আগে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হয়। এরপর পৌনে ৫টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময়টায় অফিস শেষে অনেকেই ইফতারের আগে বাসায় ফেরার তাড়ায় ছিলেন। ফলে স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় জমে যায়।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া বৃষ্টি বিরামহীনভাবে চলে বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ। ঘণ্টাব্যাপী এ বৃষ্টিতে নগরীর অনেকে প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগর, বেইলি রোড, মালিবাগ, মৌচাক, সিদ্ধেশ্বরী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জলাবদ্ধতার চিত্র। অনেকেই নিরুপায় হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে ছুটেছেন। টানা বৃষ্টিতে প্রধান সড়কসহ অলিগলিতেও জমেছে পানি। রাস্তায় পানি ওঠায় ড্রেনের ময়লাও সড়কে আছড়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয়েছে স্কুল ও অফিসফেরতদের। পথচারীরাও পানি মাড়িয়ে এগিয়েছেন গন্তব্যের দিকে। এসব এলাকায় বৃষ্টির কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটও।

হঠাৎ বৃষ্টিতে প্রায় অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। শান্তিনগর মোড়ে একটি দোকানের দাঁড়িয়ে ছিলেন বাড্ডার বাসিন্দা দিদার মোল্লা। তিনি বলেন, ‘পল্টন থেকে রওনা হয়ে বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি আসায় একটা দোকানে আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। রাস্তায় এত পানি হাঁটার অবস্থা নেই। ইফতারের সময় হয়ে যাচ্ছে, যানজট ঠেলে রিকশায় করে যে যাবো সে অবস্থাও নেই।’

বেসরকারি চাকরিজীবী সিমি খাতুন বলেন, অফিস থেকে বাসায় যাচ্ছিলাম এমন অবস্থা বাসেও উঠতে পারছি না। পানির এত স্রোত জুতা খুলেও হাঁটতে পারছি না। জামা-কাপর সব ভিজে গেছে। ইফতারের সময় হয়ে যাচ্ছে, তাই হেঁটেই বাসায় যাচ্ছি।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বৃষ্টির পর সৃষ্ট যানজট নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল ট্র্যাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমতিয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেলের বৃষ্টির পর কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির শুরুতে যানচলাচল ধীরগতিতে ছিল। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে থাকে। এর ফলে বর্তমানে রাস্তায় যানজট রয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও যানজটে অসহনীয় ভোগান্তি

আপডেট সময় ১০:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

গ্রীষ্মের আগেই গরমের প্রখরতা দেখাচ্ছে বসন্তের মধ্যভাগ। ভ্যাপসা গরমের মধ্যেই স্বস্তির বার্তা নিয়ে এলো একপশলা বৃষ্টি। তবে স্বস্তির মধ্যেও ছিল ভোগান্তির চিত্র। হঠাৎ বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়েন রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা।

বৃষ্টির মধ্যে ‘কারিগরি জটিলতায়’ ঢাকার মেট্রোরেল আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকায় ইফতারের আগে আগে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হয়। এরপর পৌনে ৫টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময়টায় অফিস শেষে অনেকেই ইফতারের আগে বাসায় ফেরার তাড়ায় ছিলেন। ফলে স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় জমে যায়।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া বৃষ্টি বিরামহীনভাবে চলে বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ। ঘণ্টাব্যাপী এ বৃষ্টিতে নগরীর অনেকে প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগর, বেইলি রোড, মালিবাগ, মৌচাক, সিদ্ধেশ্বরী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জলাবদ্ধতার চিত্র। অনেকেই নিরুপায় হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে ছুটেছেন। টানা বৃষ্টিতে প্রধান সড়কসহ অলিগলিতেও জমেছে পানি। রাস্তায় পানি ওঠায় ড্রেনের ময়লাও সড়কে আছড়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয়েছে স্কুল ও অফিসফেরতদের। পথচারীরাও পানি মাড়িয়ে এগিয়েছেন গন্তব্যের দিকে। এসব এলাকায় বৃষ্টির কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটও।

হঠাৎ বৃষ্টিতে প্রায় অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। শান্তিনগর মোড়ে একটি দোকানের দাঁড়িয়ে ছিলেন বাড্ডার বাসিন্দা দিদার মোল্লা। তিনি বলেন, ‘পল্টন থেকে রওনা হয়ে বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি আসায় একটা দোকানে আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। রাস্তায় এত পানি হাঁটার অবস্থা নেই। ইফতারের সময় হয়ে যাচ্ছে, যানজট ঠেলে রিকশায় করে যে যাবো সে অবস্থাও নেই।’

বেসরকারি চাকরিজীবী সিমি খাতুন বলেন, অফিস থেকে বাসায় যাচ্ছিলাম এমন অবস্থা বাসেও উঠতে পারছি না। পানির এত স্রোত জুতা খুলেও হাঁটতে পারছি না। জামা-কাপর সব ভিজে গেছে। ইফতারের সময় হয়ে যাচ্ছে, তাই হেঁটেই বাসায় যাচ্ছি।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বৃষ্টির পর সৃষ্ট যানজট নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল ট্র্যাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমতিয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেলের বৃষ্টির পর কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির শুরুতে যানচলাচল ধীরগতিতে ছিল। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে থাকে। এর ফলে বর্তমানে রাস্তায় যানজট রয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।