ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৯১ বার পড়া হয়েছে

হানবী (সা.) বিয়েকে ঈমানের অর্ধেক বলেছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিয়ে করল, সে ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করল। অতএব বাকি অর্ধেকে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ৬১৪৮)

এমনকি পরিবারে বিয়ের উপযুক্ত কেউ থাকলে তার দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে কোরআনে নির্দেশনা রয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিয়ে দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা নুর, আয়াত : ৩২)

কোনো সাহাবাদের মতে, শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব। নবীজি (সা.) আয়েশা (রা.)-কে এই মাসে বিয়ে করেছেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বিয়ে করেন শাওয়াল মাসে এবং শাওয়াল মাসেই আমাদের বাসর হয়। আর আয়েশা (রা.) শাওয়ালে তাঁর (সম্পর্কীয়) মেয়েদের বাসর হওয়া পছন্দ করতেন। (তিনি বলতেন) : তাঁর কোনো স্ত্রী তাঁর কাছে আমার চাইতে অধিক ভাগ্যবতী ছিল?’ (নাসায়ি : ৩২৩৬)

ইমাম নববী (রহ.) সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থে এই হাদিস উল্লেখ করার পর বলেন, এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় যে শাওয়াল মাসে বিয়ে দেওয়া, বিয়ে করা ও বাসর করা মুস্তাহাব। আমাদের পূর্বসূরিরাও এই হাদিস দ্বারা শাওয়াল মাসে বিয়ে মুস্তাহাব হওয়ার দলিল দিতেন।

তবে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত হিসেবে যে কথাটি প্রচলিত আছে, সেটির কোনো ভিত্তি নেই। এই মাসে বিয়ে করার আলাদা কোনো ফজিলত-মর্যাদার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়নি। মহানবী (সা.)-এর বিয়েগুলো বছরের বিভিন্ন মাসে হয়েছে। সুতরাং বিয়ের ক্ষেত্রে শাওয়ালের বিশেষ কোনো ফজিলত নেই। তবে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা যাবে না—এমন ধারণাও জাহিলি যুগের কুসংস্কারের একটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব

আপডেট সময় ১১:৫৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

হানবী (সা.) বিয়েকে ঈমানের অর্ধেক বলেছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিয়ে করল, সে ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করল। অতএব বাকি অর্ধেকে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ৬১৪৮)

এমনকি পরিবারে বিয়ের উপযুক্ত কেউ থাকলে তার দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে কোরআনে নির্দেশনা রয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিয়ে দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা নুর, আয়াত : ৩২)

কোনো সাহাবাদের মতে, শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব। নবীজি (সা.) আয়েশা (রা.)-কে এই মাসে বিয়ে করেছেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বিয়ে করেন শাওয়াল মাসে এবং শাওয়াল মাসেই আমাদের বাসর হয়। আর আয়েশা (রা.) শাওয়ালে তাঁর (সম্পর্কীয়) মেয়েদের বাসর হওয়া পছন্দ করতেন। (তিনি বলতেন) : তাঁর কোনো স্ত্রী তাঁর কাছে আমার চাইতে অধিক ভাগ্যবতী ছিল?’ (নাসায়ি : ৩২৩৬)

ইমাম নববী (রহ.) সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থে এই হাদিস উল্লেখ করার পর বলেন, এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় যে শাওয়াল মাসে বিয়ে দেওয়া, বিয়ে করা ও বাসর করা মুস্তাহাব। আমাদের পূর্বসূরিরাও এই হাদিস দ্বারা শাওয়াল মাসে বিয়ে মুস্তাহাব হওয়ার দলিল দিতেন।

তবে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত হিসেবে যে কথাটি প্রচলিত আছে, সেটির কোনো ভিত্তি নেই। এই মাসে বিয়ে করার আলাদা কোনো ফজিলত-মর্যাদার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়নি। মহানবী (সা.)-এর বিয়েগুলো বছরের বিভিন্ন মাসে হয়েছে। সুতরাং বিয়ের ক্ষেত্রে শাওয়ালের বিশেষ কোনো ফজিলত নেই। তবে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা যাবে না—এমন ধারণাও জাহিলি যুগের কুসংস্কারের একটি।