ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় পানিশূন্যতায় ভুগছেন দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / ২০৩ বার পড়া হয়েছে

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ যেন থামছেই না। প্রতিদিনই ফিলিস্তিনি জনগণ হত্যার শিকার হচ্ছে। এ সংঘাত পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে নতুন খবর সামনে এসেছে।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। সেখানে বলা হয়, ঐ নারীদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী রয়েছেন, যারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় পানিশূন্যতায় ভুগছেন দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী

আপডেট সময় ১০:৫৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ যেন থামছেই না। প্রতিদিনই ফিলিস্তিনি জনগণ হত্যার শিকার হচ্ছে। এ সংঘাত পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে নতুন খবর সামনে এসেছে।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। সেখানে বলা হয়, ঐ নারীদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী রয়েছেন, যারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার।