ঢাকা ০১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবাকে হত্যার পর থানায় জিডি, গ্রেপ্তার হলেন মা-মেয়েসহ ৩ জন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / ১১১ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে তারু মিয়া (৬২) নামে এক বৃদ্ধ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে উপজেলার বুধল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যার শিকার তারু মিয়া বুধল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি বুধর বাজারে পান-সিগারেটের ব্যবসা করতেন।
গত ২৮ এপ্রিল বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তারু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তারু মিয়া নিখোঁজ দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মেয়ে তানজিনা আক্তার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারু মিয়া উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা করতেন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করতেন মেয়ে তানজিনা আক্তার। অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রায় তারু মিয়ার সঙ্গে স্ত্রী হাদিসা বেগমের ঝগড়া হতো।
এ নিয়ে তারু মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ের মনে ক্ষোভ জন্ম নেয়। সেই ক্ষোভ থেকে তারু মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেয়ে তানজিনা আক্তার।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল (বুধবার) রাতে তানজিনা আক্তার তার বাবার খাবারের মধ্যে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে তারু মিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।
পরে তারু মিয়ার মেয়ে, স্ত্রী ও পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ভাড়াটে খুনি সুমনসহ আরো কয়েজকন মিলে রাত দেড়টার দিকে তারু মিয়ার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বাড়ির পাশের ডোবায় ঝোপ-ঝাড়ে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তানজিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল দুপুরে ওই ডোবায় তারু মিয়ার মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তারু মিয়ার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক জানান, এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. মহিউদ্দিন শেখ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, তারু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহপুর এলাকার মনা মিয়ার ছেলে সুমনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার বিকেলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বাবাকে হত্যার পর থানায় জিডি, গ্রেপ্তার হলেন মা-মেয়েসহ ৩ জন

আপডেট সময় ১১:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে তারু মিয়া (৬২) নামে এক বৃদ্ধ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে উপজেলার বুধল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যার শিকার তারু মিয়া বুধল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি বুধর বাজারে পান-সিগারেটের ব্যবসা করতেন।
গত ২৮ এপ্রিল বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তারু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তারু মিয়া নিখোঁজ দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মেয়ে তানজিনা আক্তার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারু মিয়া উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা করতেন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করতেন মেয়ে তানজিনা আক্তার। অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রায় তারু মিয়ার সঙ্গে স্ত্রী হাদিসা বেগমের ঝগড়া হতো।
এ নিয়ে তারু মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ের মনে ক্ষোভ জন্ম নেয়। সেই ক্ষোভ থেকে তারু মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেয়ে তানজিনা আক্তার।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল (বুধবার) রাতে তানজিনা আক্তার তার বাবার খাবারের মধ্যে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে তারু মিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।
পরে তারু মিয়ার মেয়ে, স্ত্রী ও পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ভাড়াটে খুনি সুমনসহ আরো কয়েজকন মিলে রাত দেড়টার দিকে তারু মিয়ার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বাড়ির পাশের ডোবায় ঝোপ-ঝাড়ে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তানজিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল দুপুরে ওই ডোবায় তারু মিয়ার মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তারু মিয়ার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক জানান, এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. মহিউদ্দিন শেখ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, তারু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহপুর এলাকার মনা মিয়ার ছেলে সুমনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার বিকেলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।