বাড়িতে ঘুষ নিতে আসা কনস্টেবলকে আটকে ৯৯৯–এ ফোন
- আপডেট সময় ০৯:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
- / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার এক কনস্টেবল সাদাপোশাকে শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার এক ব্যক্তির বাড়িতে যান। ওই বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, ঘুষ নেওয়ার জন্য তিনি এসেছিলেন। তাকে আটকে রেখে তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে ওই কনস্টেবলকে ছাড়িয়ে নেয় আর ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও জোরপূর্বক মুছে দেয়।
গতকাল শনিবার (১৮ মে) আক্কেলপুর পৌরশহরের শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার মৃত সেকেন্দার আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ওই কনস্টেবলের নাম আশিক হোসেন। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাকে শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার বাসিন্দা সোহেল রানা ও স্থানীয় লোকজন আটকে রাখে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা বলেন, ‘কনস্টেবলের বিরুদ্ধে এসপি স্যারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছি। আর কিছু বলতে পারব না।
’
ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে মাদক সেবন ছেড়েছি। জমিজমা নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহখানেক আগে একজন এসআইয়ের সঙ্গে কনস্টেবল আশিক হোসেন আমাদের গ্রামে এসেছিলেন। তখন কনস্টেবল আশিক আমার কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন।
আমি তাকে কোনো টাকা না দেওয়ায় তিনি আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ঘটনার দুই দিন পর রাতের বেলায় আমাকে সড়কে একা পেয়ে কনস্টেবল আশিক আমার পকেটে ১০ পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি পরদিন সকালে তাকে টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করে ছাড়া পেয়েছি। এরপর কনস্টেবল আমার বাড়ি এসে আমাকে না পেয়ে দরজায় লাথি মেরে ও গালিগালাজ করে চলে যান।’
তিনি আরো বলেন, ‘শনিবার কনস্টেবল আশিক আবারও আমার বাড়িতে এসে ঘুষের টাকা দাবি করেন।
তখন আমি তার হাতে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। আমার স্ত্রী আড়াল থেকে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও রেকর্ড করে। এরপর ঘটনাটি থানার ওসিকে জানাতে চাইলে ঘুষের টাকা রেখে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করেন কনস্টেবল আশিক। তখন তাকে বাড়িতে আটকে রেখে ৯৯৯ কল করি। থানা-পুলিশ এসে ঘটনা শুনে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও মুছে ফেলে কনস্টেবলকে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। এ সময় গ্রামবাসী ও স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।’
অভিযুক্ত কনস্টেবল আশিক হোসেন ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সোহেল রানা একজন মাদক কারবারি। তাকে চিহ্নিত করতে সকালে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ কারণে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।
ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার বাসিন্দা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফেরদৌস হোসেন বলেন, ‘সোহেল রানার বাড়িতে সাদাপোশাকে একজন কনস্টেবলকে আটকে রাখা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।’