ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার স্ত্রীসহ আটক ৩

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪
  • / ১৯১ বার পড়া হয়েছে

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের পর ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার স্ত্রী পারভীন আক্তার শাহানাজ ওরফে রূপসীসহ প্রতারক চক্রের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয় এবং বুধবার (২২ মে) আটককৃতদের পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটকৃতরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সাকাওয়াত হোসেন সজিব মালিথার স্ত্রী পারভীন আক্তার শাহানাজ ওরফে রূপসী (২৬), ঈশ্বরদী পৌরশহরের মশুরিয়াপাড়া এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে জালাল হোসেন (২২) ও দাশুড়িয়া বালিয়াডাঙ্গা (বাঘ হাসলা) গ্রামের বাদশা মণ্ডলের ছেলে আজমল হক (২৭)। ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, প্রায় সাড়ে চার আগে পাবনা সদর থানার টেবুনিয়া ভজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আফসার আলী প্রাংয়ের ছেলে আব্দুল লতিফের বাসায় ভাড়া থাকতেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সাকাওয়াত হোসেন সজিব মালিথা ও তার স্ত্রী। সেই সুবাদে আব্দুল লতিফের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন সজিব মালিথার স্ত্রী পারভীন আক্তার। এরপর মুঠোফোনে তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। গত সোমবার (২০ মে) বিকালে ব্যবসায়িক কাজে আব্দুল লতিফ ঈশ্বরদীতে গেলে আবারও মুঠোফোনে যোগাযোগ হয় পারভিন আক্তারের সঙ্গে। পারভীন আক্তার তাকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পূর্বটেংরী বকুলের মোড়ে তাদের নতুন ভাড়া বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য দাওয়াত করলে আব্দুল লতিফ সেখানে যান। পরে পারভিন আক্তার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আটককৃত আসামি জামাল ও আজমল সহযোগিতায় তার বাসায় অজ্ঞাতনামা এক মহিলার সঙ্গে আব্দুল লতিফকে একটি রুমে আটকে রেখে মারধর করেন। আব্দুল লতিফকে বিবস্ত্র করে ঐ মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন তারা। এই ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে লতিফের কাছে হতে বিকাশের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। পরে একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আব্দুল লতিফকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ও বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে সখ্যতা গড়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের মাধ্যমে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল। আসামিদের আটকের সময় উল্লেখিত স্ট্যাম্প, নগদ টাকা ও ভিডিও ধারণকারী মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার সংবাদ প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক সাংবাদিকের অফিসে বসে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার স্ত্রীসহ আটক ৩

আপডেট সময় ১০:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের পর ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার স্ত্রী পারভীন আক্তার শাহানাজ ওরফে রূপসীসহ প্রতারক চক্রের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয় এবং বুধবার (২২ মে) আটককৃতদের পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটকৃতরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সাকাওয়াত হোসেন সজিব মালিথার স্ত্রী পারভীন আক্তার শাহানাজ ওরফে রূপসী (২৬), ঈশ্বরদী পৌরশহরের মশুরিয়াপাড়া এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে জালাল হোসেন (২২) ও দাশুড়িয়া বালিয়াডাঙ্গা (বাঘ হাসলা) গ্রামের বাদশা মণ্ডলের ছেলে আজমল হক (২৭)। ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, প্রায় সাড়ে চার আগে পাবনা সদর থানার টেবুনিয়া ভজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আফসার আলী প্রাংয়ের ছেলে আব্দুল লতিফের বাসায় ভাড়া থাকতেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সাকাওয়াত হোসেন সজিব মালিথা ও তার স্ত্রী। সেই সুবাদে আব্দুল লতিফের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন সজিব মালিথার স্ত্রী পারভীন আক্তার। এরপর মুঠোফোনে তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। গত সোমবার (২০ মে) বিকালে ব্যবসায়িক কাজে আব্দুল লতিফ ঈশ্বরদীতে গেলে আবারও মুঠোফোনে যোগাযোগ হয় পারভিন আক্তারের সঙ্গে। পারভীন আক্তার তাকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পূর্বটেংরী বকুলের মোড়ে তাদের নতুন ভাড়া বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য দাওয়াত করলে আব্দুল লতিফ সেখানে যান। পরে পারভিন আক্তার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আটককৃত আসামি জামাল ও আজমল সহযোগিতায় তার বাসায় অজ্ঞাতনামা এক মহিলার সঙ্গে আব্দুল লতিফকে একটি রুমে আটকে রেখে মারধর করেন। আব্দুল লতিফকে বিবস্ত্র করে ঐ মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন তারা। এই ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে লতিফের কাছে হতে বিকাশের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। পরে একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আব্দুল লতিফকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ও বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে সখ্যতা গড়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের মাধ্যমে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল। আসামিদের আটকের সময় উল্লেখিত স্ট্যাম্প, নগদ টাকা ও ভিডিও ধারণকারী মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার সংবাদ প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক সাংবাদিকের অফিসে বসে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে