ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০০ লাশ ফেলার হুমকি, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থিতা বাতিল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • / ১৪২ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনের দিন ১০০ লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। আজ রোববার নির্বাচন কমিশনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসংক্রান্ত বিষয়ে আবু আহমেদের ব্যাখ্যা গ্রহণ শেষে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। ২৯ মে এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

১৩ মে চট্টগ্রামে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দের সময় আবু আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জসিম উদ্দিনের প্রতিনিধির উদ্দেশে হুমকি দিয়েছিলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনে তিনি নির্বাচনের দিন ১০০ লাশ ফেলার পাশাপাশি নির্বাচনের সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রামাণিক আবু আহমেদকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশের জবাবও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জবাব মনোপুত না হওয়ায় এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনসংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আবু আহমেদকে গতকাল কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। যথাসময়ে আবু আহমেদ সেখানে হাজির ছিলেন।

জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রার্থী আবু আহমেদকে কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছিল। শুনানি শেষে আবু আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু এ–সংক্রান্ত কোনো কাগজ এখনো পাইনি।’

জানতে চাইলে আবু আহমেদ আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ‘সম্পূর্ণ একতরফা ও অন্যায়ভাবে আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এখনো আমি কমিশনে আছি। লিখিত আদেশটি হাতে পেলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে ২৩ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে আবু আহমেদকে আজ কমিশনে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়। নোটিশে বলা হয়েছে, তাঁর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এবং নির্বাচনী বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বিধায় প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, এ বিষয়ে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

১০০ লাশ ফেলার হুমকি, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থিতা বাতিল

আপডেট সময় ০৯:৫১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

নির্বাচনের দিন ১০০ লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। আজ রোববার নির্বাচন কমিশনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসংক্রান্ত বিষয়ে আবু আহমেদের ব্যাখ্যা গ্রহণ শেষে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। ২৯ মে এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

১৩ মে চট্টগ্রামে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দের সময় আবু আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জসিম উদ্দিনের প্রতিনিধির উদ্দেশে হুমকি দিয়েছিলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনে তিনি নির্বাচনের দিন ১০০ লাশ ফেলার পাশাপাশি নির্বাচনের সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রামাণিক আবু আহমেদকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশের জবাবও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জবাব মনোপুত না হওয়ায় এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনসংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আবু আহমেদকে গতকাল কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। যথাসময়ে আবু আহমেদ সেখানে হাজির ছিলেন।

জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রার্থী আবু আহমেদকে কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছিল। শুনানি শেষে আবু আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু এ–সংক্রান্ত কোনো কাগজ এখনো পাইনি।’

জানতে চাইলে আবু আহমেদ আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ‘সম্পূর্ণ একতরফা ও অন্যায়ভাবে আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এখনো আমি কমিশনে আছি। লিখিত আদেশটি হাতে পেলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে ২৩ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে আবু আহমেদকে আজ কমিশনে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়। নোটিশে বলা হয়েছে, তাঁর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এবং নির্বাচনী বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বিধায় প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, এ বিষয়ে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।