ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, স্লোগান থামান, স্লোগানের চেয়ে ডিসিপ্লিন জরুরি
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি
- আপডেট সময় ০৮:২০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
- / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত রাখা, জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে আসা এবং সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুর যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ইতিবাচক ও যুগোপযোগী সমাধানের দাবিতে আয়োজিত ছাত্রলীগের সমাবেশে দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ চলাকালে পাশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী নেতাকর্মী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর নেতাকর্মীদের মধ্যে এই মারামারি হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক সৈকতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা যায়, সমাবেশ চলাকালে ‘ভালো’ জায়গায় দাঁড়ানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে, এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেট পর্যন্ত ধাওয়া করে নিয়ে যায়। পরে ঢাবি সাধারণ সম্পাদক সৈকত নিজে মঞ্চ থেকে নেমে নেতাকর্মীদের আলাদা করেন এবং শান্ত করতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইনান শয়নের হাতে থাকা মাইকটি নিয়ে স্লোগান ধরেন।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে জানা গেছে, রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। এসময় মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের অনেকেই মারধরের শিকার হন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, স্লোগান থামান, স্লোগানের চেয়ে ডিসিপ্লিন জরুরি। আর সেই ডিসিপ্লিনের কি অবস্থা সেটা আমরা দেখেছি। সংগঠনের ডিসসিপ্লিন না মানলে আমরা সময়মতো ব্যবস্থা নেব। সংগঠন কারো মামার বাড়ির আবদার নয়। আমরা খোঁজ রাখছি, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।