কোটাবিরোধী চলমান আন্দোলনে আজ দুপুর থেকেই দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগসহ বহিরাগতরা। এ সময় হামলার শিকার আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিক্যালে (ঢামেক) চিকিৎসা নিতে গেলে জরুরি বিভাগে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে ঢামেকে থাকা শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রলীগের হামলায় আহত অনেকেই চিকিৎসারত অবস্থায় ছাত্রলীগ ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে প্রবেশ করে। এখানে যারা সুস্থ ছিলেন তাদের উপর আবার তারা হামলা চালায়। আর যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল তাদেরকে চিকিৎসা নিতে বাধা প্রদান করে।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক (অর্থ ও স্টোর) ডা: মো. খালেকুজ্জামান খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ সময় শহীদ মিনার থেকে চানখারপুল পর্যন্ত পুরো রাস্তা এবং মেডিকেল এরিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং মহানগর ছাত্রলীগের দখলে ছিল।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় প্রায় দেড়শ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঢামেকে আসা কিছু আহতদের নাম জানা গেছে। তারা হলেন— সায়মা, তামান্না, ফাহমিদা, এসকায়া, মাহমুদুল হাসান, ইয়াকুব, নাজিব, মাসুদ, জাহিদ, সাখাওয়াত, সায়মন, সাকিব, ইভা, ইমরান, কাজি তাসনিম, সাকিল, ইভা, ফাহিম, এনামুল, শাকিল, হামজা, রিফাদ রশিদ, জহির, তিশা, রানা, সুজন, সাখাওয়াত, রফিক, সীমা, ইমু, ইসরাত, জুয়েল, জুবেল, লিখন, সাজ্জাদ, আভানা, নাঈম, সাব্বির, রায়হান, কাইয়ুম, মেঘ বাসু, সাকিব, ফাহিম, আহসানুল্লাহ, লাবিব, তানভীর, ফাহমিদুল, রেয়োম, শাকিল, প্রিয়া, সাব্বির, মাসুম, ফাহিন, ইমন, আবু যাহেদ, শুভ, সাকিব, মাহবুব, জুনায়েত, মুরাদ, মেহেদী আসাদুল্লাহ, খোকন, উজ্জ্বল, অরপি, ইতি, রাফিম, সিয়াম, অমি, জামিয়া, সুমন, রিজভী, আবিদ, তরিকুলসহ আরও অনেকে।

এর আগে কার্জন হল এলাকার মারামারিতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।