ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ১১:৫৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৯৫ বার পড়া হয়েছে

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। সারা দেশে কালবেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে এসব জানা গেছে।

যশোর:

কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুন রাস্তা মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় খুলনা-যশোর মহাসড়ক, মুজগুন্নী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের এই আন্দোলনে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষকেও একাত্মতা প্রকাশ করে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চরম অপমানজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা একটি যৌক্তিক আন্দোলনের উপর পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করে তাদেরকে রক্তাক্ত করেছে, যা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্তরায় ও নিন্দনীয় অপরাধ। তারা এর সুষ্ঠু বিচার চান।

বগুড়া:

এদিকে বগুড়ায় ঢাকা-রংপুর সড়ক আবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী:

অন্যদিকে রাজশাহী-ঢাকা বাইপাস সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধরা।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার পর দোয়েল চত্বরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এর পরও কোটা বাতিল না হলে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। নাহিদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের এনে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর থাকার পরও বহিরাগতরা কীভাবে হামলা করে?

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ

আপডেট সময় ১১:৫৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। সারা দেশে কালবেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে এসব জানা গেছে।

যশোর:

কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুন রাস্তা মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় খুলনা-যশোর মহাসড়ক, মুজগুন্নী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের এই আন্দোলনে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষকেও একাত্মতা প্রকাশ করে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চরম অপমানজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা একটি যৌক্তিক আন্দোলনের উপর পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করে তাদেরকে রক্তাক্ত করেছে, যা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্তরায় ও নিন্দনীয় অপরাধ। তারা এর সুষ্ঠু বিচার চান।

বগুড়া:

এদিকে বগুড়ায় ঢাকা-রংপুর সড়ক আবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী:

অন্যদিকে রাজশাহী-ঢাকা বাইপাস সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধরা।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার পর দোয়েল চত্বরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এর পরও কোটা বাতিল না হলে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। নাহিদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের এনে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর থাকার পরও বহিরাগতরা কীভাবে হামলা করে?