সংস্থাটির যুক্তি, প্রেসিডেন্ট সংবিধান নির্ধারিত ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে এই শুল্ক আরোপ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মার্কিন শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা করেছে সংস্থাটি। ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া যাদের ব্যবসা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির উপর নির্ভরশীল, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লিবার্টি জাস্টিস সেন্টারের সিনিয়র আইনজীবী জেফ্রি শোয়াব বলেন, কোনো ব্যক্তিরই এমন কর আরোপের ক্ষমতা থাকা উচিত নয়, যার ফলে এত বিশাল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। মূলত সংবিধান কংগ্রেসকে শুল্কসহ করের হার নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়, প্রেসিডেন্টকে নয়।’
উল্লেখ্য, লিবার্টি জাস্টিস সেন্টার ইলিনয় পলিসি ইনস্টিটিউটের মামলা-মোকদ্দমা শাখা। তারা মুক্ত বাজারভিত্তিক একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক। এই গ্রুপটি সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত ‘জানুস বনাম আমেরিকান ফেডারেশন অফ স্টেট, কাউন্টি অ্যান্ড মিউনিসিপ্যাল এমপ্লয়িজ’ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সেখানে তারা পাবলিক লেবার ইউনিয়নের যৌথ দর কষাকষির ক্ষমতা দুর্বল করতে সফল হয়।
হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে পাঠানো ই-মেইলের তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর দেননি।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন ফ্লোরিডার একটি ফেডারেল আদালতেও একই ধরনের মামলার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে একজন ছোট ব্যবসার মালিক চীনের উপর আরোপিত শুল্ক বন্ধ করার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সূত্র : গার্ডিয়ান