আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদিন জানান, আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যাসহ দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
আইভীর আইনজীবী এস এম সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘আইভী দলমত-নির্বিশেষে সবার জনপ্রিয় সাবেক মেয়র। তিনি আন্দোলনে কখনো মাঠে নামেননি। তাকে সব ক’টি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। এতে আমাদের আইনিপ্রক্রিয়া চালাতে সহজ হবে।’
একটি মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ–বাংলা ব্যাংকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। শামীম ওসমান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে বাদির স্বামী রিকশাচালক তুহিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০০ জনকে আসামি করে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাটি করেন নিহত তুহিনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার।
অন্য মামলার এজাহারে বলা হয়, একই দিন (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। শামীম ওসমান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হকার নাদিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি বাঁ-পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নেয়া হলে ওই পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় নাদিমের বাবা দুলাল হোসেন গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০০ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।