উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদের সংবাদকে অসত্য, ভিত্তিহীন বললো মন্ত্রণালয়
স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর ব্যাখ্যা দিল মন্ত্রণালয়

- আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে
প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আওয়ামী লীগ আমলে নেওয়া উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম। একটি পত্রিকায় এ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা অসত্য বলেও দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম-দ্বিতীয় পর্যায় (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকৃত তথ্য অবহিতকরণ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মাহবুব-উল-আলম বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ-প্রথম পর্যায় (১৩১টি)’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত, যার গড় ব্যয় ছিল প্রায় ৫৩ লাখ ৫২ লাখ টাকা। এটি ছিল সরকারি খাসজমিতে সীমিত অবকাঠামো। এতে ছিল- একতলা প্যাভিলিয়ন, টয়লেট ব্লক, আরসিসি বেঞ্চ ও মাঠ উন্নয়ন।
সচিব বলেন, বর্তমান প্রকল্পটি ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ-দ্বিতীয় পর্যায় (প্রথম সংশোধিত)’ যা বহুল বিস্তৃত অবকাঠামো, জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নসহ ১২৩ উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এর অনুমোদিত গড় ব্যয় ১৪ কোটি ২০ কোটি টাকা, যা আগের চেয়ে কয়েকগুণ উন্নত এবং পরিসর বাড়ানো হয়েছে।’
এসময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইকবাল হোসেন বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ ব্যয় গড়ে ৩৩৮ কোটি ১১ লাখ টাকা।
প্রকল্পে আরও আছে- তিনতলা বিশিষ্ট প্যাভিলিয়ন ভবন (৭০’ x ৪০’); পাঁচ ধাপবিশিষ্ট ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাধারণ গ্যালারি (এক হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা); সীমানা প্রাচীর, ড্রেনেজ, সংযোগ সড়ক, সোলার প্যানেল, চেয়ার সরবরাহসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। যা প্রথম পর্যায়ের ডিজাইন ও বাজেট কাঠামোর সঙ্গে তুলনামূলক একেবারেই ভিন্ন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ’ প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প নামকরণ করে। পরিকল্পনা কমিশনের গত ২১মে’র প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ অনুযায়ী এর ব্যয় নির্ধারণ ও অনুমোদন হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক এবং বিশেষজ্ঞ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি ব্যয় পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়, যার সুপারিশের ভিত্তিতেই ব্যয়ের যৌক্তিকতা যাচাই করে অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইকবাল হোসেন আরও জানান, জমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামোর পরিসর বাড়ানো, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, ড্রেনেজ সিস্টেম সংযোজন, গ্যালারি নির্মাণ, সোলার প্যানেল নির্মাণ ও পিডাব্লিউডির ২০১৮-এর রেট সিডিউলের পরিবর্তে ২০২২-এর রেট শিডিউল অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে।