গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরো ২৯০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ফলে ইসরাইলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা এক লাখ ২১ হাজার ৬৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, অনেক ভুক্তভোগী এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এদিকে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা গাজার কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরাইল বাধা দেয়ায় গত ২ মার্চ থেকে কমপক্ষে ৩২৬ ফিলিস্তিনি অনাহারে প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করেছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির দুই মাসের মধ্যেই ইসরাইল আবারো ব্যাপকহারে সামরিক অভিযান চালানো শুরু করে। গত ১৮ মার্চ ভোরে শুরু হওয়া অভিযানে এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে তিন হাজার ৪২৭ জন নিহত এবং নয় হাজার ৬৪৭ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এর আগে, ইসরাইল গত ২ মার্চ থেকে গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।