ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অর্থনৈতিক সঙ্কটে জামায়াতের গভীর উদ্বেগ

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৭:১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা দেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ সঙ্কট, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন হ্রাস ও চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

সারা দেশে বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে তীব্র গ্যাস সঙ্কটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বলছে না, কল-কারখানার চাকা ঘুরছে না। গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে তিনটি ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এলএনজি সরবরাহ শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কমে গেছে।

রাজধানী ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। মহাখালীর দু’টি ভাসমান টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে মাত্র ৩৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে। যা পূর্বের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এ অবস্থায় শিল্প, কল-কারখানায় উৎপাদনের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে দেশে ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের আশু কোনো সম্ভাবনা নেই।

রোববার সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক বৈঠকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। দেশের রফতনি বাণিজ্য আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছে। ডলার সঙ্কটের কারণে আমদানিও কমে গিয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকে জবাবদিহিতা ছাড়াই টাকা ছাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ খবরে দেশের অর্থনীতিবিদগণ এবং জনগণ গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

সরকার তড়িঘড়ি করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও তাতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কার্যকর কোনো পরিবর্তন বা অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দেশের ১০-১৫টি ব্যাংক দুর্বল অবস্থায় পৌঁছে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, দুর্বল ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারল্য সঙ্কটের কারণে সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশের ব্যাবসা, বাণিজ্য, শিল্পখাতসহ গোটা অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গত দেড় বছরে ডলার কেনা বাবদ ব্যাংকগুলোর ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। দেশে বর্তমানে শুধু নাই নাই রব শুনা যাচ্ছে।

সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়া বানিয়েছে। এ অবস্থার একমাত্র সমাধান হল অবিলম্বে ডামি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকার পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এছাড়া বর্তমান সর্বগ্রাসী সঙ্কট থেকে দেশকে উদ্ধারের আর কোনো পথ নেই। তাই জনগণের দাবি মেনে নিয়ে ডামি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অর্থনৈতিক সঙ্কটে জামায়াতের গভীর উদ্বেগ

আপডেট সময় ০৭:১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা দেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ সঙ্কট, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন হ্রাস ও চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

সারা দেশে বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে তীব্র গ্যাস সঙ্কটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বলছে না, কল-কারখানার চাকা ঘুরছে না। গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে তিনটি ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এলএনজি সরবরাহ শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কমে গেছে।

রাজধানী ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। মহাখালীর দু’টি ভাসমান টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে মাত্র ৩৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে। যা পূর্বের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এ অবস্থায় শিল্প, কল-কারখানায় উৎপাদনের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে দেশে ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের আশু কোনো সম্ভাবনা নেই।

রোববার সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক বৈঠকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। দেশের রফতনি বাণিজ্য আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছে। ডলার সঙ্কটের কারণে আমদানিও কমে গিয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকে জবাবদিহিতা ছাড়াই টাকা ছাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ খবরে দেশের অর্থনীতিবিদগণ এবং জনগণ গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

সরকার তড়িঘড়ি করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও তাতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কার্যকর কোনো পরিবর্তন বা অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দেশের ১০-১৫টি ব্যাংক দুর্বল অবস্থায় পৌঁছে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, দুর্বল ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারল্য সঙ্কটের কারণে সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশের ব্যাবসা, বাণিজ্য, শিল্পখাতসহ গোটা অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গত দেড় বছরে ডলার কেনা বাবদ ব্যাংকগুলোর ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। দেশে বর্তমানে শুধু নাই নাই রব শুনা যাচ্ছে।

সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়া বানিয়েছে। এ অবস্থার একমাত্র সমাধান হল অবিলম্বে ডামি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকার পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এছাড়া বর্তমান সর্বগ্রাসী সঙ্কট থেকে দেশকে উদ্ধারের আর কোনো পথ নেই। তাই জনগণের দাবি মেনে নিয়ে ডামি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।